নয়া দিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২ তম জন্মদিনে সুদূর নামিবিয়া থেকে ভারতের মাটিতে পা রেখেছে ৮ চিতা। তাদের মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সাত দশক পর ভারত পেয়েছে চিতা। ফলত এই নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে উন্মাদনা কম নয়। এই ৮ অতিথিকে দেখার জন্যও মন বিচলিত হচ্ছে তাঁদের। কবে তাঁরা এই ৮ চিতাকে চাক্ষুষ করতে পারবেন, এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। এবার মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে জনগণের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন নমো।
প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, নামিবিয়া থেকে আনা ৮ চিতাকে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ঘোষণা করবে যে সাধারণ মানুষ কখন তাদের দেখতে যেতে পারবেন। তিনি এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এই নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে এবং ১৩০ কোটি ভারতীয় উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত যে এটাই ভারতের প্রকৃতির প্রতি ভালবাসার উদাহরণ।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁরা কবে চিতাদের দেখতে পাবেন…চিতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাঁরা দেখবেন নতুন পরিবেশে চিতাগুলি কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন। তারপরই আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে এই ৮ চিতার নামকরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মোদী। তিনি জানিয়েছেন চিতা প্রজেক্টের ও প্রত্যেক চিতার নামকরণে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের উদ্দেশে একটি প্রতিযোগিতারও সূচনা করা হয়েছে। সেখানে সবাই নিজেদের পছন্দের নাম উত্থাপিত করতে পারবেন। এদিন নমো বলেন, ‘MyGov প্ল্যাটফর্মে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেখানে আমি সাধারণ মানুষকে কিছু জিনিস শেয়ার করার আহ্বান জানাচ্ছি…চিতার উপর যে প্রচার অভিযান চলছে তার কী নাম রাখা যেতে পারে? আমরা কি সব চিতার নামকরণের পথেও হাঁটতে পারি…’। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সেই নামের পরামর্শ দিতে হবে। তিনি এদিন বলেন, ‘আপনারা এটাও জানাতে পারেন, মানুষদের কীভাবে পশুদের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। আমাদের মৌলিক কর্তব্য হল পশুদের সম্মান করা। আমি সকলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি এবং এই চিতাদের আপনারাই প্রথম দেখতে পারেন।’ প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালে দেশের শেষ চিতা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সাত দশক পর ভারতের মাটিতে এল চিতা। স্বভাবতই তা নিয়ে সাধারণের মানুষের মধ্যে উন্মাদনা কম নয়। এবার শুধু চিতাদের সামনাসামনি দেখার অপেক্ষা।