AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ধর্মীয় বিভেদ নয়,সকলের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতের পথেই এগোচ্ছে দেশ’, আলিগড়ে দাঁড়িয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতার উপরই জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,"বর্তমানে দেশ এমন একটি পথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সকল নাগরিক কোনও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে। এখন ধর্মের ভিত্তিতে কেউ পিছিয়ে থাকছে না এবং সবাই নিজেদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হচ্ছে।"

'ধর্মীয় বিভেদ নয়,সকলের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতের পথেই এগোচ্ছে দেশ', আলিগড়ে দাঁড়িয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
ভার্চুয়াল বার্তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি:ANI
| Updated on: Dec 22, 2020 | 3:06 PM
Share

আলিগড়: ধর্মীয় বিভেদ নয়, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সাংবিধানিক অধিকার ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (Aligarh Muslim University) এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূরণ (Centenary Celebration) অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সামিল হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,”নিম্নবিত্ত মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারের প্রকল্পগুলি ধর্মীয় বিভেদ না করেই সকলের কাছে পৌঁছছে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন মতাদর্শগত পার্থক্যকে দূরে সরিয়ে রাখা।

অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতার উপরই জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”বর্তমানে দেশ এমন একটি পথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সকল নাগরিক কোনও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে। এখন ধর্মের ভিত্তিতে কেউ পিছিয়ে থাকছে না এবং সবাই নিজেদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হচ্ছে। আমরা যে ধর্মেই জন্মগ্রহণ করি না কেন, দেশের লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে মিলিত হচ্ছে, তা দেখা দরকার।”

আরও পড়ুন: সম্পর্ক বিচ্ছেদের রাগ ও উপেক্ষার কারণেই হাথরসের তরুণীকে ধর্ষণ, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

তিনি আরও বলেন, “সমাজে আদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে, কিন্তু জাতির উন্নয়নের কাছে বাকি সমস্ত বিষয়ই গৌণ। দেশের ক্ষেত্রে আদর্শগত বিভেদের প্রশ্নই ওঠে না। এখানে আমি এই কথাগুলি বলছি কারণ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় বহু মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছে। তাদের মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও দেশের স্বাধীনতার জন্য তা দূরে সরিয়ে রেখেছিল তারা। যেভাবে স্বাধীনতা তাদের ঐক্যবদ্ধ করেছিল, তেমনই নয়া ভারত গড়তে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

দেশের উন্নয়নকে রাজনীতির চোখে না দেখার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”লক্ষ্যপূরণে আমরা যখন একত্রিত হব, কিছু নেতিবাচক উপাদানও উঠে আসবে। কিন্তু আমরা যদি নতুন ভারত গড়ার উপর মনোযোগ দিই, তখন এইধরনের বিষয়গুলি স্থান পাবে না। রাজনীতি ও সমাজ অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু দেশের উন্নয়ন নয়। বিগত শতকে মতাদর্শগত পার্থত্যের জন্য বহু সময় নষ্ট হয়েছে, এখন আর নষ্ট করার মতো সময় নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অজানা তথ্য তুলে ধরার অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আরও দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে ‘নয়া’ করোনা, ভ্যাকসিন পারবে রুখতে?