যোগীর জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা নেই নমোর! করোনার রিপোর্টকার্ডই কি চিড় ধরাল সম্পর্কে?
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা না জানালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন উত্তর প্রদেশে। করোনা মোকাবিলা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ নিয়ে যখন বিপাকে পড়েছে শাসক দল, সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা না আসায় সেই জল্পনাই আরও বেড়েছিল।
শনিবারই জন্মদিন ছিল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্টদের তালিকায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে কেবল মোদীই নন, বিজেপির আরেক শীর্ষ নেতা অমিত শাহও কোনও টুইট করে শুভেচ্ছা জানাননি। যদিও দলীয় কোন্দলের জল্পনায় ইতি টানতে রাজ্য সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা না জানালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাফাই দিতে তাদের আরও দাবি, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী কোনও নেতাকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে টুইট করেননি। এই তালিকায় দলীয় নেতা নীতিন গডকরী, মনোহর লাল খট্টর থেকে শুরু করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও রয়েছেন, যাদের টুইটবার্তায় শুভেচ্ছা জানাননি প্রধানমন্ত্রী।
তবে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা চলছিল যে করোনা মোকাবিলায় যোগী সরকারের ব্যর্থতা বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। গঙ্গায় ও নদীতীরে মৃতদেহ নিয়ে গোটা বিশ্বে যে চর্চা হয়েছে, তার জেরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা দলীয় কর্মীদেরই। এই পরিস্থিতিতে আরএসএস ও প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক সেই জল্পনাতেই ঘি ঢেলেছিল। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একাধিক জায়গায় হারের কারণও খতিয়ে দেখা হয় এই বৈঠকে।
আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বা দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কাউকে সরানো হতে পারে বলেও খবর শোনা যায়। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবারই তিনি করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন। বিজেপির দলীয় সংগঠনের তরফেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সামনে রেখে এগোনো হবে, এ কথায় একপ্রকার শিলমোহর দেওয়া হয়। তবে চলতি মাসেই রাজ্যের মন্ত্রীসভায় সম্প্রসারণ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
উত্তর প্রদেশের সম্প্রসারিত মন্ত্রীসভায় মোদী ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত অরবিন্দ কুমার শর্মা জায়গা করে নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। বিএল সন্তোষ ও রাধামোহন সিং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ উত্তর প্রদেশের একাধিক মন্ত্রী-নেতার সঙ্গে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন কষাকষি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যদিও দিল্লি বা উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে এই বিষয়ে মুখ খোলেনি কেউই।
আরও পড়ুন : ‘ক্ষমতালোভীর মতো আচরণ অরাজকতাই ডেকে আনবে’, নাম না করেই বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের