নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ শেষ হতে এখনও অনেক সময় বাকি। বুধবার দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা (COVID-19) ও ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেএমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সংক্রমণ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বাস্থ্য় দফতর কতটা প্রস্তুত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্যই উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, “সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্কতায় কোনও খামতি রাখা যাবে না”। দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে শুরু করে করোনা টিকাকরণ, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিভিন্ন ধরন ও সাধারণ মানুষের উপরে তার প্রভাব, এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ দেশের করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন পেশ করেন। বিগত কয়েক মাসে দেশে এইচ১এন১ ও এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানানো হয়, বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণ ৭০০-৮০০ গণ্ডিতে ঘোরাফেরা করছে। তবে সংক্রমণের হার এখনও ১ শতাংশের কম রয়েছে। এরপরে করোনার ২০টি ওষুধ, ১২টি অন্য ওষুধ, ৮টি বাফার ওষুধ ও ১টি ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধের দামের উপরেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান।
হাসপাতালে রোগী, স্বাস্থ্য়কর্মী ও সাধারণ মানুষ যেন মাস্কের ব্যবহার করেন, তার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্তাদের করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর কথাও বলেন। করোনা মোকাবিলায় করোনা পরীক্ষা, সংক্রমণ নির্ণয়, চিকিৎসা, টিকাকরণ ও করোনাবিধি মেনে চলা- এই পাঁচ স্তরের স্বাস্থ্য়বিধি অনুসরণের পরামর্শও দেন তিনি।