PM Narendra Modi: নুন খেয়ে ভুলে গেল বাংলাদেশ! বিজয় দিবসে মোদীর শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ফুটে উঠল ইউনূসের গাত্রদাহ

PM Narendra Modi: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

PM Narendra Modi: নুন খেয়ে ভুলে গেল বাংলাদেশ! বিজয় দিবসে মোদীর শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ফুটে উঠল ইউনূসের গাত্রদাহ
বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটের বিরোধিতা করেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা
Follow Us:
| Updated on: Dec 16, 2024 | 6:32 PM

নয়াদিল্লি ও ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময়। পড়শি বাংলাদেশের দিকে সবসময় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ভারতের অনেক বীর সন্তান আত্মত্যাগ করেছেন। ভারতীয় সেনার বীরত্বের কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হার স্বীকার করে পাকিস্তানের সেনা। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে ভারত। সোমবার সেই বিজয় দিবসে বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে স্যালুট জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজয় দিবস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর টুইটকে কটাক্ষ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এদিন বিজয় দিবসে এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী জওয়ানদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাঁদের বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।”

এই খবরটিও পড়ুন

জওয়ানদের আত্মত্যাগকে প্রধানমন্ত্রী যখন শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন, তখন তাঁর এই টুইটের প্রতিবাদ করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “তীব্র প্রতিবাদ করছি। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র, এর বেশি কিছু নয়।” কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পোস্ট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

গত কয়েকমাসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জুলাই মাসের শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ৩ দিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। ইউনূস প্রশাসনের ৪ মাস কেটেছে। এরই মধ্যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। পদ্মাপারের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ভারত বারবার বার্তা দিলেও কোনও হেলদোল দেখা যায়নি ইউনূস প্রশাসনের। অন্যদিকে, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা সফরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি বার্তা দিয়েছেন, ইউনূস প্রশাসনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক চায় ভারত।

কূটনীতিকরা বলছেন, ভারত যখন বারবার ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশের তরফে সেই একই উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের একাধিক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ও নেতা ভারতের অংশ দখল নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু, ভারতের তরফে বারবার বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনেও প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর এদিন বিজয় দিবসে জওয়ানদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন বার্তা দিচ্ছেন, তার বিরোধিতা করে ইউনূস প্রশাসনের আইন উপদেষ্টার মন্তব্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।