কংগ্রেসকে শক্ত পায়ে দাঁড় করাতে আহমেদ প্যাটেলের ভূমিকা ছিল বিরাট, মনে করালেন মোদী
গতকাল মধ্যরাতে, প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ মারা যান আহমেদ প্যাটেল। প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ৬টায় টুইটে লেখেন, “আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুর খবরে দুঃখ পেলাম। কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করার পিছনে তাঁর অবদান মনে থাকবে।"
TV9 বাংলা ডিজিটাল: বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের (Ahmed Patel) মৃত্যু দিল্লির রাজনৈতিক মহলে শোকের আবহ সৃষ্টি করেছে। আহমেদের প্রয়াণ জাতীয় কংগ্রেসে বিরাট বড় ধাক্কা। কত বড়, সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজের শোকবার্তায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক বৈপরিত্যকে দূরে রেখেই মোদী এদিন উল্লেখ করেছেন, দল হিসেবে কংগ্রেসকে শক্ত পায়ে দাঁড় করাতে কতটা অবদান ছিল আহমেদ প্যাটেলের।
গতকাল মধ্যরাতে, প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ মারা যান আহমেদ প্যাটেল। প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ৬টায় টুইটে লেখেন, “আহমেদ প্যাটেলের মৃত্যুর খবরে দুঃখ পেলাম। সমাজকে সেবার মাধ্যমে তিনি কয়েক বছর মানুষের সঙ্গে থেকে কাটিয়েছেন। তীক্ষ্ম বুদ্ধির জন্য পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করার পিছনে তাঁর অবদান মনে থাকবে। ওঁর ছেলে ফয়জলের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানালাম। আহমেদ ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাক।”
Saddened by the demise of Ahmed Patel Ji. He spent years in public life, serving society. Known for his sharp mind, his role in strengthening the Congress Party would always be remembered. Spoke to his son Faisal and expressed condolences. May Ahmed Bhai’s soul rest in peace.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 25, 2020
প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেসের অন্যতম ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ তথা সোনিয়া গান্ধীর বিশ্বস্ত ও কাছের মানুষ রূপে পরিচিত ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। নেহরু জমানা থেকে শুরু করে গান্ধী যুগ, সবটাই দেখেছেন সামনে থেকে। কিন্তু কখনই দলের বিরুদ্ধে যাননি। প্রকৃতপক্ষে ‘বিশ্বস্ত’ বলতে যা বোঝায়, কংগ্রেসে আহমেদ প্যাটেল ছিলেন সেটাই। কংগ্রেসের বর্তমান অভ্যন্তরীণ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও ব্যথিত আটবারের এই সাংসদের প্রয়াণে। “আহমেদ প্যাটেল জীবনটাই দলকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। বাস্তবে সহকর্মী বলতে যা বোঝায়, প্যাটেল ছিলেন সেটাই”, লেখেন সোনিয়া।
আরও পড়ুন: দু’বছরের মধ্যে নতুন সংসদ! ডিসেম্বরে শিলান্যাস করতে পারেন মোদী!
১৯৪৯ সালে গুজরাটে জন্ম হয়েছিল আহমেদ প্যাটেলের। তিনবার লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন, এরপর ৫ বার রাজ্যসভা থেকে মনোনিত হন। মাত্র ২৮ বছর বয়েসে প্রথমবার ভারুচ থেকে লোকসভা ভোটে জিতে সংসদে পা রাখেন তিনি। সেই থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে আহমেদ প্যাটেলকে দলের কোষাগার দেখাশোনার দায়িত্ব দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষের পদেই ছিলেন তিনি। গত ১ অক্টোবর আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। তবে অবস্থার অবনতি হলে ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফিরে আসা হল না কংগ্রেসের এই টিমম্যানের।