PM Narendra Modi: ইডির উদ্ধার করা টাকা বিলিয়ে দেওয়া হবে গরিবদের? বড় কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Money Seized by ED: প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দুর্নীতি থেকে বিহারের জমির বিনিময়ে চাকরির মতো দুর্নীতির টাকা রয়েছে।
নয়া দিল্লি: কখনও কলকাতা তো কখনও ভোপাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলছে টাকার পাহাড়ের খোঁজ। বিগত কয়েক বছরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রচুর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে। কিন্তু এই উদ্ধার হওয়া টাকা যায় কোথায়? এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে। এবার ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা নিয়ে বড় কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানালেন, দুর্নীতি মামলায় ইডির উদ্ধার করা টাকা দেশের গরিব মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা ভাবছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি ইতিমধ্যেই আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তা-আলোচনাও করছেন এই কাজ সম্ভব করার জন্য।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইডির কাজ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইডির উদ্ধার করা টাকা গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। আমি এটা নিয়ে ভাবছি কারণ অন্তর থেকে আমার মনে হয় যে এরা (দুর্নীতিগ্রস্ত) গরিব মানুষের টাকা লুঠ করেছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। গরিব মানুষদেরই এই টাকা ফেরত পাওয়া উচিত।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এর জন্য যদি আইনত কোনও পরিবর্তন আনতে হয়, আমি করব। আমি ইতিমধ্যেই লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলছি। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি যে উদ্ধার হওয়া এই টাকা নিয়ে কী করা যায়। ন্যায় সংহিতায় এই নিয়ে কিছু ধারা রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দুর্নীতি থেকে বিহারের জমির বিনিময়ে চাকরির মতো দুর্নীতির টাকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি। এক ধরনের দুর্নীতি হয় বড় কোম্পানি বা ব্যবসায়, যেখানে আর্থিক লেনদেন লুকানো হয়। কিন্তু অধিকাংশ মামলাতেই সহজ, সরল সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েই এই টাকার দুর্নীতি হয়, যেমন বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। একইভাবে কেরলে কমিউনিস্ট পার্টির পরিচালিত কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে সাধারণ মানুষের টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত ব্যবসার অংশিদারীর নামে। এভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। লালুজি তো রেলমন্ত্রী থাকাকালীন গরিব মানুষদের চাকরি দিয়ে, নিজের নামে জমি লিখিয়ে নিয়েছেন।”