গান্ধীনগর: ওভারব্রিজের নিচে ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকে। সেই জায়গাকেও যে সুন্দরভাবে ব্যবহার করা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনাকে রূপ দিয়ে তা দেখাল গুজরাট সরকার। ওভারব্রিজের নিচে হল খেলাধূলার জায়গা। মোবাইল ছেড়ে শিশুরা যেখানে খেলাধূলায় মেতে উঠবে। ওভারব্রিজের নিচে খাবার স্টলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেষবার গুজরাট সফরে এসে ওভারব্রিজের নিচের জায়গাকে ব্যবহার করা নিয়ে নিজের ভাবনাচিন্তা গুজরাট সরকারের সঙ্গে শেয়ার করেন মোদী। ওভারব্রিজের নিচের ফাঁকা জায়গাকে সঠিকভাবে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বয়স্করা যাতে সময় কাটাতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা যায়। খেলাধূলার জায়গাও করা যায়। স্থানীয় খাবারের স্টল বসিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন। পার্কিংয়ের জন্য যাতে জায়গা রাখা হয়, সেকথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই ভাবনাকে রূপ দিয়ে আহমেদাবাদে সিআইএমএস রেলওয়ে ওভারব্রিজের নিচে খেলাধূলা, পার্কিংয়ের জন্য সাজিয়ে তুলেছে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এর জন্য খরচ হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর উদ্বোধন করেন।
আহমেদাবাদে এরকম আরও ১০টি ব্রিজ, সুরাটের ২টি ব্রিজ, বদোদরার ৪টি, রাজকোটের ২টি এবং গান্ধীনগরের ২টি ব্রিজকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হর্ষ সংঘভি বলেন, “এটা গর্বের বিষয় যে দেশের এমন একজন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন যিনি নিত্যনতুন ভাবনা, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় বদল এনেছেন। তা সে মহিলাদের সুরক্ষা হোক কিংবা কর্মসংস্থান। শেষবার গুজরাট সফরে এসে ওভারব্রিজের নিচে ফাঁকা জায়গার ব্যবহার নিয়ে গুজরাট সরকারকে তাঁর ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। যাতে যুবসমাজ খেলাধূলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। শিশুরা মোবাইলের বদলে খেলাধূলায় আগ্রহ দেখায়। বয়স্করা সময় কাটাতে পারেন। এবং কর্মসংস্থানও হয়। ফুড স্টল দেওয়া যায়।”