Rahul Gandhi: সংসদ থেকে চিরবিদায় দিলেও কিছু যায় আসে না: বেপরোয়া রাহুল
Rahul Gandhi: সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বেপরোয়া রাহুল। জানিয়ে দিলেন, সংসদ থেকে চিরতরে বিদায় দিলেও তাঁর কিছু যায় আসে না।
নয়া দিল্লি: লোকসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুক্রবারই সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বহিষ্কৃত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই এদিন তিনি সংসদে নিজের সদস্য পদ খারিজ হওয়া এবং সুরাট আদালতে তাঁর ২০১৯ সালের মন্তব্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পিছনে ভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করলেন। তবে এতকিছুর পরও তিনি যে দমে যাওয়ার পাত্র নন,সাংবাদিক বৈঠকে তাও স্পষ্ট করে দিলেন রাগা।
রাহুল এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, “আমি প্রশ্ন করা বন্ধ করব না, মোদী-আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করবই। ২০ হাজার কোটি টাকা কার? আমি জিজ্ঞাসা করতেই থাকব। আমি ওঁদের ভয় পাই না।” আজকের বৈঠকে একবার নয়, একাধিকবার তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেও এবং সংসদ থেকে সারাজীবনের জন্য বের করে দিলেও তাঁর কিছু যায় আসে না। তিনি নিজের ‘তপস্যা’ থেকে দূরে সরবেন না। বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, ভারতের গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করছেন। এবং কোনও কিছুতেই তিনি সেই তপস্য়া থেকে পিছু হঠবেন না। তিনি আরও বলেন, “ আমি সত্য়ি দেখি। এছাড়া আর কিছুতে আগ্রহ নেই আমার। আমি সত্যি কথা বলি। রাজনীতিতে এটা ফ্যাশনেবল কথা নয়। কিন্তু এটা আমার রক্তে রয়েছে। এর পরিবর্তে অন্য রাস্তা আমি বেছে নিতে পারব না। এটা আমার জীবনের তপস্যা। আমাকে মারলে, ধরলে, সদস্যপদ খারিজ করলে, জেলে রাখলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি আমার তপস্যাই করে যাব।” তিনি এ দিন বারংবার বলেছেন, তিনি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কাজ করে যাবেন। গরিব মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্য করায় বৃহস্পতিবার ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী। তাঁকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সেদিনই জামিনও পেয়ে যান এই কংগ্রেস নেতা। পাশাপাশি, তাঁকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয় উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য। এদিকে সুরাটের আদালতের রায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে লোকসভায় ওয়ানাডের সাংসদ হিসেবে তাঁর সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়। আজ রাহুলের যুক্তি, আদানি-মোদী সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এই আক্রমণ ধেয়ে এসেছে। রাহুল আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমার পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে ভীত, তাই আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে।” এরপরও রাহুলের বার্তা, তিনি প্রশ্ন করা ছাড়বেন না।