গলায় গামছা দিয়ে ‘অসম বাঁচাও যাত্রা’ শুরু রাহুলের, সিএএ নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রকে

অহমিয়াদের প্রতি বার্তা দিয়ে রাহুল জানান, রাজ্যের প্রয়োজন একজন "নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী"-র, যিনি নাগপুর আর দিল্লির কথা না শুনে অসমের সাধারণ মানুষদের কথা শুনবেন।

গলায় গামছা দিয়ে 'অসম বাঁচাও যাত্রা' শুরু রাহুলের, সিএএ নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রকে
শিবগঙ্গায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2021 | 4:20 PM

গুয়াহাটি: চলতি বছরে এই প্রথমবার অসম গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই বিজেপিকে নয়া নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে বিঁধলেন। অসমের শিবসাগরে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “অসমকে ভেঙে টুকরো করার ক্ষমতা কারোর নেই। যাঁরাই অসমকে স্পর্শ করতে চাইবে বা ঘৃণা ছড়াতে চাইবে, কংগ্রেস ও অসমের বাসিন্দারা তাঁদের একসঙ্গে উচিত শিক্ষা দেবে।”

আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অসমে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) অসম সফরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে নিয়েছেন। এবার পালা কংগ্রেসের। রবিবার “অসম বাঁচাও যাত্রা”-র মাধ্যমে অসমে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের প্রধান হাতিয়ার নয়া নাগরিকত্ব বিলই। অনুষ্ঠানমঞ্চে রাহুল ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের গলায় “নো সিএএ” (No CAA) লেখা গামছা দেখা যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠেই রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা যে গামছাটি পরেছি, তাতে সিএএ লেখা রয়েছে এবং তার উপর দিয়ে কাটা চিহ্ন দেওয়া রয়েছে। এর অর্থ একটাই-যাই-ই হয়ে যাক, আমরা সিএএ হতে দেব না।”

আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে থাকলে কি কৃষকরা মরতেন না?’ বিতর্কিত মন্তব্য হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রীর

সম্প্রতি লোকসভায় রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “হাম দো, হামারে দো-এই শব্দটিকে নতুন অর্থ দিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারও এখন এই নীতি অনুসরণ করেই চলছে”। আজ ফের একবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, “হাম দো, হামারে দো, ভাল করে শুনে রাখ। আমরা কিছুতেই সিএএ হতে দেব না, কখনও সিএএ হবে না।”

অহমিয়াদের প্রতি বার্তা দিয়ে রাহুল জানান, রাজ্যের প্রয়োজন একজন “নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী”-র, যিনি নাগপুর আর দিল্লির কথা না শুনে অসমের সাধারণ মানুষদের কথা শুনবেন। ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সংহতি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস অসমের ঐক্য ও সংহতির পক্ষেই লড়াই করবে এবং ক্ষমতায় এলে কখনওই নয়া নাগরিকত্ব আইন লাগু হতে দেবে না।” কেন্দ্রকে আক্রমণ করে রাহুল আরও বলেন, “যদি অসম বিভক্ত হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রভাবিত হবেন না। কিন্তু অসমবাসী এবং বাকি দেশের নাগরিকেরা প্রভাবিত হবেন।”

তবে রাহুল গান্ধীর আক্রমণের জবাব দিয়েছেন অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি “অসম বাঁচাও যাত্রা”-কে কটাক্ষ করে বলেন, “কাদের হাত থেকে অসমকে বাঁচাতে চাইছেন ওনারা (কংগ্রেস)? যদি অসমকে বাঁচাতেই চান, তবে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তবেই অসমের সংস্কৃতি রক্ষা হবে।”

সিএএ নিয়েও তিনি বলেন, “নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেউ কথা বলছে না। প্রয়োজনে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া দেখে নিন। সাধারণ মানুষ অসমের ছাত্রীদের স্কুটি দেওয়া এবং আগামিদিনে ছাত্ররা কী পাবে, তা নিয়ে আলোচনা করছে। কংগ্রেস ৫০ বছর পিছিয়ে রয়েছে, তাই পুরনো ইস্যু তুলে আনছে।”

আরও পড়ুন: ভোলেননি পুলওয়ামার স্মৃতি, সেনাবাহিনীকে দেশীয় ট্যাঙ্ক উপহার প্রধানমন্ত্রীর