মিনিটের ব্যবধানে ২ কোটির জমি হাতবদলে দাম হল ১৮ কোটি! রাম মন্দির নির্মাণে দুর্নীতির আঁচ বিরোধীদের

সমাজবাদী পার্টির নেতা পবন পাণ্ডে রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, মন্দিরের পাশের একটি জমি ঘিরেই দুর্নীতি হয়েছে। দু'জন রিয়েল এস্টেট ডিলার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটির টাকায় জমি কিনে কয়েক মিনিট বাদেই মন্দির কমিটির কাছে বিক্রি করে দেয়।

মিনিটের ব্যবধানে ২ কোটির জমি হাতবদলে দাম হল ১৮ কোটি! রাম মন্দির নির্মাণে দুর্নীতির আঁচ বিরোধীদের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 6:47 AM

লখনউ: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ তৈরি হবে, তা নিয়ে জট কাটলেও এ বার মন্দির তৈরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শাসক দল ও রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি কেনা-বেচার অভিযোগ তুলল সমাজবাদী পার্টি ও আম আদমি পার্টি।

দীর্ঘ সময় ধরে অযোধ্যার জমিতে রাম মন্দি-বাবরি মসজিদের মালিকানা নিয়ে টামনাপোড়েনের পর গত বছরের অগস্ট মাসে এই জমির মালিকানা তুলে দেওয়া হয় রাম মন্দিরের হাতেই। মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত করতে বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। মন্দির গঠনের দেখভালের জন্য তৈরি করা হয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র নামক একটি ট্রাস্ট।

তবে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মন্দিরের পার্শ্ববর্তী জমি কেনা ঘিরে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করেছে ওই কমিটি। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা পবন পাণ্ডে রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, মন্দিরের পাশের একটি জমি ঘিরেই দুর্নীতি হয়েছে। দু’জন রিয়েল এস্টেট ডিলার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটির টাকায় জমি কিনে কয়েক মিনিট বাদেই মন্দির কমিটির কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে ওই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জমির দাম ২ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৮.৫ কোটিতে।

প্রমাণ হিসাবে তিনি জমি কেনা বেচার দুটি কোর্ট পেপারও দেখান, যেখানে দুটি কাগজেই প্রধান সাক্ষী হিসাবে অযোধ্যার মেয়রের স্বাক্ষর করা। তিনি আবার রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্যও।

কয়েক মিনিটের মধ্যেই কীভাবে জমির দাম ১৬ টাকা বেড়ে গেল, তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন পবন পান্ডে। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষ নিজের জমা সম্বল থেকে এই ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছিল। তাদের টাকা নিয়ে ইসব করা হচ্ছে। এটা ১২০ কোটি জনতার কাছেই অপমান।”

আম আদমি পার্টির তরফেও একই অভিযোগ করা হয়। রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং বলেন, “শ্রীরামের নামেও যে দুর্নীতি হতে পারে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু এই কাগজগুলিই প্রমাণ দিচ্ছে কীভাবে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।”

যদিও মন্দির কমিটির তরফে সম্পূর্ণ অভিযোগই ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তথা ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই বলেন, “দশকের পর দশক ধরে নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনেকে তো আমাদের মহাত্মা গান্ধীর হত্যার জন্যও দায়ী করেছিল। আমরা এইসব অভিযোগকে পাত্তা দিই না।”

আরও পড়ুন: ৩৮ স্ত্রী ও ৮৯ সন্তান রেখে চলে গেলেন মিজোরামের জিয়োনা চানা