Chhattisgarh: কমলা রঙের বাদুড়ও হয়! বিরল প্রজাতির দেখা মিলল ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 18, 2023 | 9:16 PM

Rare orange coloured painted bat: এক সময়, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত এই প্রাণী। কিন্তু, সংখ্যা ক্রমশ কমতে কমতে এখন তারা প্রায় অবলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

Chhattisgarh: কমলা রঙের বাদুড়ও হয়! বিরল প্রজাতির দেখা মিলল ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে
ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্গের উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল বিরল কমলা রঙের বাদুড়

Follow Us

রায়পুর: এক সময়, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত এই প্রাণী। কিন্তু, সংখ্যা ক্রমশ কমতে কমতে এখন তারা প্রায় অবলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্গের উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল বিরল কমলা রঙের বাদুড়, যার নাম ‘পেইন্টেড ব্যাট’। বুধবার বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, গত সোমবার পারালি বোড়াল গ্রামের এক কলা বাগান থেকে বাদুড়টিকে উদ্ধার করা হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার কাঙ্গের উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল এই বিরল প্রজাতির বাদুড়ের। উদ্যানের ডিরেক্টর ধম্মশীল জ্যানবীর জানিয়েছেন, এর আগে ২০২০ এবং ২০২২ সালে এই বনাঞ্চল থেকে আরও দুটি পেইন্টেড বাদুড় উদ্ধার করা হয়েছিল। বস্তুত, কাঙ্গের উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে বহু চুনা পাথরের গুহা রয়েছে। এই গুহাগুলি বাদুড়দের বসবাসের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।

পেইন্টেড ব্যাটের বৈজ্ঞানিক নাম আঁকা বাদুড়, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘কেরিভাউলা পিক্টা’। ধম্মশীল জ্ঞানবীর জানিয়েছেন, এই প্রজাতির বাদুড়ের গায়ের রঙ হয় উজ্জ্বল কমলা, আর ডানার রঙ হয় কালো। পিঠে থাকে ঘন কমলা রঙের লোম, আর পেটের দিকে থাকে নরম চামড়া। তাদের লোমশ মুখে কোনও উঁচু-নীচু নেই। এদের কানদুটি হয় বড় বড়, পানেল আকারের। শুষ্ক এলাকায় এবং ঘন আর্দ্র বনে থাকতে পছন্দ করে। কলা পাতার নিচে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে। এই বাদুড়গুলি উড়তে উড়তে পোকামাকড় ধরে খায়।


তবে শুধু কমলা বাদুড়ই নয়, সম্প্রতি এইজাতীয় উদ্যানে আরও এক অবলুপ্তপ্রায় প্রাণীরও দেখা মিলেছে – ভারতীয় নেকড়ে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় এই প্রাণীটিকে তফসিল-১’এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে এই বনে ভারতীয় নেকড়ে দেখতে পাওয়াটা অত্যন্ত সুখবর। ধম্মশীল জ্যানবীর বলেছেন, “এখানকার জঙ্গলে ভারতীয় নেকড়ে খুঁজে পাওয়া খুবই ভাল খবর। এদের সংরক্ষণের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদেরও এই বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে। সংরক্ষণে আমাদের সাহায্য করার জন্য আমরা তাদের সাহায্য চাইছি। যদিও বনের একটা বড় অংশ এখনও নকশাল অধ্যুষিত। বন দফতরের আধিকারিকরা সেই সব এলাকায় যেতে পারেন না। কিন্তু তারপরও বন্য প্রাণীদের বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এর আগে কাঙ্গের উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে ব্লাইন্ড ফিশ, পাহাড়ি ময়না, কুমির, লং মুশ্টাস কেভ ক্রিকেট এবং বিরল প্রজাতির ওটারের দেখা মিলেছে এই জঙ্গলে। শীগগিরই এই জাতীয় উদ্যানে কত প্রজাতির বাদুড় আছে, তা খুঁজে বের করার জন্য একটি সমীক্ষা করা হবে।