Cancer Risk: রেড ভেলভেট কেকে লুকিয়ে ক্যান্সারের বিষ! কর্নাটকে নমুনা পরীক্ষা করে চমকে গেলেন বিশেষজ্ঞরা
Cancer Risk: পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে কর্নাটকের ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট। খাদ্য দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হওয়ায়, তাঁরা কেকের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। এরপরই সামনে আসে সেই রিপোর্ট।
কর্নাটক: ছোট থেকে বড়, অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে কেক। নরম কেকের ওপর তুলতুলে ক্রিম, মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে… এমন কেক পছন্দ করেন অনেকেই। তবে সেই কেকে কামড় দিয়ে শরীরে বিষ প্রবেশ করাচ্ছেন না তো? সম্প্রতি ভারতেই কেক পরীক্ষা করে এমন কিছু উপাদানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা চিকিৎসকদের কাছে রীতিমতো উদ্বেগের। স্থানীয়ভাবে যে সব কেক তৈরি হয়, সেগুলিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে কর্নাটকের ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট। খাদ্য দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হওয়ায়, তাঁরা কেকের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। যে কেকগুলি পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে ১২টি এমন নমুনা পাওয়া গিয়েছে যার মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে। বিশেষ করে রেড ভেলভেট ও ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকে অতিরিক্ত রঙ ব্যবহারের কারণে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
কেকের ১২টি নমুনায় আলুনা রেড, সানসেট ইয়েলো, পোনুসিয়া ৪আর, করমিওসিন পাওয়া গিয়েছে। এগুলি সব কৃত্রিম রঙ। স্বাস্থ্যের ওপর এগুলির খারাপ প্রভাব থাকে। তাই রেড ভেলভেট এবং ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান করা হচ্ছে। কেক প্রস্তুতকারকদের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশ মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
কর্নাটকের খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে স্থানীয় বেকারিগুলিকে এমন কেক বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে। অত্যাধিক পরিমাণে কৃত্রিম রঙ থাকে, এমন কেক বিক্রি করা যাবে না।
২৩৫টি কেকের নমুনার মধ্যে ২২৩টি ছিল নিরাপদ। চিকিৎসকরা বলছেন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে এই সব রঙে।
FSSAI-এর নির্দেশিকা অনুসারে, বেশিরভাগ খাবারের রঙ এক কেজিতে ১০০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত, তার বেশি নয়। খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার শ্রীনিবাস কেও বেকারিদের কেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।