Utttarpradesh: গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক! শিশুকে বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটল সরকার
Mirzapur, High School, সোনুর এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সোনু নামে ওই শিশুর এক পা ধরে টেনে নিয়ে এসে তাঁকে দোতলা বারান্দা থেকে নিচে ঝুলিয়ে রেখে শাস্তি দেন প্রধান শিক্ষক মনোজ। এই ঘটনার সময় অন্যান্য ছাত্ররাও সেখানে উপস্থিত ছিল।
মির্জাপুর: সব ভুলের কখনও ক্ষমা হয়না। আরও যখন শাস্তির নামে নিষ্পাপ শিশুকে নির্যাতন করা হয় সেই ভুলকে উপেক্ষা করে যাওয়াও অন্যায়। শেষ নিজের কৃতকর্মের শাস্তি পেলেন উত্তর প্রদেশ মির্জাপুর জেলার শিক্ষক মনোজ বিশ্বকর্মা। গত, ২৮ শে অক্টোবর, মির্জাপুরের বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে এক শিশু পড়ুয়াকে ঝুলিয়ে রেখে তালিবানি কায়দায় শাস্তি দিয়েছিলেন। এই শাস্তির দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, ক্লাসে শুধুমাত্র দুষ্টুমিই করেছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই শিশু। মির্জাপুরের অহরাউরা এলাকার সদভাবনা শিক্ষণ সংস্থান জুনিয়র হাই স্কুলে ( Sadbhavna Shikshan Sansthan Junior High School) এই ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে।
ওই ঘটনার ছবি সোশ্যাল সাইট গুলিতে ভাইরাল হওয়ার পরই এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন মির্জাপুরের জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লক্সর। এমনকি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসকের থেকে নির্দেশ পাওয়র পরেই অভিযুক্ত শিক্ষকে বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এবার তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর। শিশুটির বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে মনোজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড সংহিতার ৩৫২ এবং ৫০৬ ধারায় শিশুর বিরুদ্ধে নির্যাতনের ধারায় মামলা রুজু হয়।
কী ঘটেছিল সেদিন? স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানতে পারা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বকর্মা (Manoj Vishwakarma) দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোনু যাদবের (Sonu Yadav) ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কারণ খাবার খাওয়ার সময় সোনু নিজের সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করছিল। সোনুর এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সোনু নামে ওই শিশুর এক পা ধরে টেনে নিয়ে এসে তাঁকে দোতলা বারান্দা থেকে নিচে ঝুলিয়ে রেখে শাস্তি দেন প্রধান শিক্ষক মনোজ। এই ঘটনার সময় অন্যান্য ছাত্ররাও সেখানে উপস্থিত ছিল। তালিবানি শাস্তির চোটে শিশুটি অত্যন্ত ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে এবং বারবার নিজের অপরাধের জন্য শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি।