জলগাঁও: ট্রেনে আগুন আতঙ্ক। ভয়ে ট্রেন থেকে লাইনে নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তখন অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ১২ যাত্রীর। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে।
এদিন লখনউ থেকে মুম্বইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। কেউ অ্যালার্ম চেন টানেন। তারপরই আতঙ্কের জেরে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তখন উল্টোদিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস যাত্রীদের ধাক্কা মারে। তাতে আট যাত্রীর মৃত্যু হয় বলে প্রথমে জানা যায়। কয়েকঘণ্টার মধ্যে জখম আরও চারজন মারা যান।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনে আগুন আতঙ্কে কেউ চেন টানায় পরধাদে স্টেশনের কাছে পুষ্পক এক্সপ্রেস দাঁড় করানো হয়। তখন অনেক যাত্রী হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পাশের রেললাইনে চলে যান।
রেলের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ব্রেক বাইন্ডিংয়ের ফলে পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জখমদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মৃতের সংখ্য়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে পুষ্পক এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, “আগুন আতঙ্কে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ৩০-৩৫ জনকে ধাক্কা মেরেছে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন।” অনেকে অভিযোগ করছেন, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের চালক কোনও হর্ন দেননি। হর্ন দিলে হয়তো দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।