নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকারের মৃত্যুর পর, গত অক্টোবর মাসে দুইবার আফতাবের ছতরপুরের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন আফতাবের নতুন বান্ধবী। সেই সময় আফতাবের ফ্রিজেই রাখা ছিল শ্রদ্ধার দেহাংশ। কিন্তু, সেই সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, গত ১২ অক্টোবর তাঁকে একটি আংটিও উপহার দিয়েছিল আফতাব। সেই আংটিটি ছিল শ্রদ্ধার। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ওই আংটি বাজেয়াপ্ত করেছে। আফতাবের এই নতুন বান্ধবীকে জেরা করে, এই মামলা সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, আফতাবের এই বান্ধবী পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে, আফতাব কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর, তাঁকেই এখন অন্যান্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশের কাছে বিবৃতিতে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আফতাবের ফ্ল্যাটে দুইবার এসেও তিনি টের পাননি যে, আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিংবা, ওই ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধার দেহাংশ রাখা আছে। আফতাবকে দেখে কিছু বোঝার উপায় ছিল না। তার মধ্যে কোনও ভয় ছিল না। তার আচার-আচরণ ছিল একেবারে স্বাভাবিক। আফতাব তাঁর প্রতি যথেষ্ট যত্নশীলও ছিল। তাঁর খেয়াল রাখত। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হয়েও, তাঁর কখনও মনে হয়নি, আফতাবের মানসিক স্থিতি ঠিক নেই।
ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, আফতাব প্রায়শই তার মুম্বইয়ের বাড়ির কথা বলত। সে একাধিক গন্ধের পারফিউম এবং ডিওডব়্যান্ট ব্যবহার করত। তাঁকেও বিভিন্ন সময়ে পারফিউম উপহার দিত আফতাব। এছাড়া সে খুব বেশি ধূমপান করত বলে জানিয়েছেন তিনি। নিজের সিগারেট, সে নিজেই পাকিয়ে নিত। তবে, বারবারই সে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ার কথা বলত। তিনি আরও দাবি করেছেন, আফতাব বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ভালবাসত। বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে সে আমিষ খাবার আনিয়ে খেত। রেস্তোরাঁয় শেফরা যেভাবে খাবার সাজিয়ে দেন, সেটা তার খুব পছন্দ ছিল।