Shraddha Murder Case: খুনের আগেই ‘বিপদে’র কি আন্দাজ করেছিল শ্রদ্ধা? মাস কয়েক আগে কী মেসেজ করেছিল বন্ধুদের?
Shraddha Murder Case: শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্লা জানান, যবে থেকে মারধর করে আফতাব, তবে থেকেই শ্রদ্ধা ও আফতাবের সম্পর্ক জটিল হতে শুরু করেছিল। নিজের প্রিয় বন্ধুকে সম্পর্কের সমস্যা, টানাপোড়েন নিয়ে জানিয়েছিল শ্রদ্ধা।
নয়া দিল্লি: খুন হতে পারেন, এই আন্দাজ কি আগেই করেছিলেন শ্রদ্ধা ওয়াকার? দিল্লিতে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন ও তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্রদ্ধার কলেজের এক বন্ধু এবার জানাল, খুন হওয়ার আগে শ্রদ্ধা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, বাঁচানোর আর্তিও জানিয়েছিল সে। নিয়মিত গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হত শ্রদ্ধা, এ কথাও বন্ধুদের জানিয়েছিল সে।
শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্লা জানান, খুন হওয়ার কয়েক মাস আগে বন্ধুদের গার্হস্থ্য হিংসা ও অত্যাচারের কথা জানিয়েছিল শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, “ও (শ্রদ্ধা) নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হত। ও নিজের প্রিয় বন্ধুকে সেই কথা জানিয়েছিল। যেহেতু আমাদের বন্ধুরা এক, তাই ওরা আমায়ও এই কথা জানিয়েছিল।”
উল্লেখ্য, গত মে মাসে বছর ২৬-র শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করে আফতাব, এরপর ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজে সেই দেহের টুকরো জমিয়ে রাখে। ১৮ দিন ধরে শ্রদ্ধার দেহের অংশ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে এসেছিল সে। খুনের কারণ হিসাবে আফতাব জানিয়েছে, বিয়ে নিয়ে চাপ দেওয়ার কারণেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল। টিভি শো ডেক্সটার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল আফতাব, খুনের পরিকল্পনাও করে ওই শো দেখেই।
শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্লা জানান, যবে থেকে মারধর করে আফতাব, তবে থেকেই শ্রদ্ধা ও আফতাবের সম্পর্ক জটিল হতে শুরু করেছিল। নিজের প্রিয় বন্ধুকে সম্পর্কের সমস্যা, টানাপোড়েন নিয়ে জানিয়েছিল শ্রদ্ধা। কিন্তু তারপরও আফতাবের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তেই অনড় ছিল সে, বেশ কয়েকবার আফতাবকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও, ছেড়ে যায়নি।
২০১৫ সাল থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পরিচয় ছিল রজত শুক্লার। তবে সম্প্রতিই শ্রদ্ধা তাঁর বাল্যবন্ধুকে জানিয়েছিল, তাঁকে যেন উদ্ধার করা হয়, নাহলে হয়তো সে খুন হয়ে যেতে পারে। আফতাবের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ওকে (আফতাব) দেখে স্বভাবিকই মনে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মনের ভিতরে যে এমন হিংস্রতা ছিল, তা বাইরে থেকে বোঝা যেত না।
বিগত ছয় মাস ধরে তদন্ত চলার পর গত শনিবারই গ্রেফতার করা হয় আফতাব আমিনকে। জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে।