গ্যাংটক: রাতভর বৃষ্টি, তিস্তায় জলস্তর বাড়তেই ঘটল বিপদ। লোনক হ্রদে ফাটল ধরতেই নামে হড়পা বান, জলের তোড়ে ভেসে যায় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। ভেঙে গিয়েছে চুংথাম বাঁধ। এই বাঁধ ভাঙার কারণেই আরও প্লাবিত হয়েছে তিস্তা পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ। এই বিপর্যয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। এদিন তিনি বলেন, “নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই চুংথাম বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।”
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জানান, তিস্তা নদীতে হড়পা বান নেমেছে লোনক হ্রদের ফাটলের কারণে। ওই হ্রদ থেকে বিপুল পরিমাণ জল নেমে আসে এবং তা চুংথাম বাঁধে ধাক্কা খায়। জলের ধাক্কায় ভেঙে যায় বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। সমস্ত কিছু নিয়ে জলের স্রোত নেমে আসে। পাহাড়ের কোলে থাকা আশেপাশের সমস্ত গ্রাম ধুইয়ে নিয়ে চলে যায় তিস্তা নদী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই বাঁধটি ভেঙে গিয়েছে কারণ বাঁধের নির্মাণই সঠিকভাবে হয়নি। বিপর্যয়ের জেরে রাজ্যের উত্তর অংশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”
প্রশাসনের তরফে এ দিন জানানো হয়, হড়পা বানো রাজ্যের মোট ১৩টি সেতু ভেঙে গিয়েছে। শুধুমাত্র মঙ্গন জেলাতেই ৮টি সেতু ভেঙে গিয়েছে। গ্যাংটকে ৩টি সেতু ও নামচিতে ২টি সেতু ভেঙে গিয়েছে। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১-এ পৌঁছেছে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ২৪১১ জনকে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিকিমের প্রায় ২২ হাজার মানুষ হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চুংথামই। শহরের প্রায় ৮০ শতাংশই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও।