আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে SSC নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে ছিলেন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা। কিন্তু সোমবার মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে আপাতত শুধু পরিসংখ্যান পেশ করতে চলেছে SSC। সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য-অযোগ্যদের ফারাক বোঝাবে কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট চাইলে পরে তালিকা পেশ করবে বলে সূত্রের খবর।
পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি। এসএসসি সংক্রান্ত মামলা শুনানি হবে মঙ্গলবার। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অনেকগুলো মামলা ছিল। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলা শুনবে।
গত সোমবারের পর নতুন করে এসএসসি চাকরি হারানো সংক্রান্ত নতুন যে মামলা হয়েছে তা আজ পুরনো মামলার সঙ্গে একসঙ্গে শুনবে সুপ্রিমকোর্ট। প্রধান বিচারপতির এজলাসে নতুন মামলা একসঙ্গে সোনার আর্জি জানিয়ে মেনশন করা হয়। মামলা একসঙ্গে শুনতে সম্মত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। যোগ্য চাকরি হারাদের একাংশ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ-সহ একাধিক নতুন পিটিশন ফাইল হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, যেহেতু আসল OMR শিট নষ্ট হয়েছে, তার স্ক্যানড কপিও সিস্টেমে রাখা হয়নি, সেক্ষেত্রে কি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিকবার তলব করার পরও যেহেতু এসএসসি কিংবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করে দেওয়া হয়নি, তাই যোগ্যদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে না পেরে, গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে। তাতে চাকরি দিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। এসএসসি-র দাবি অনুযায়ী, তার মধ্যে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অযোগ্য প্রার্থী তালিকা।
২০১৬-র চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য-অযোগ্য ফারাক বোঝাতে সুপ্রিম কোর্টে আপাতত পরিসংখ্যান পেশ করতে চলেছে SSC। সংখ্যাতত্ত্ব দিয়েই যোগ্য অযোগ্যের ফারাক বোঝাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, পরে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তালিকা পেশ করা হবে। আপাতত সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা জমা না পড়ার সম্ভাবনা।