জ্যোতির্ময় কর্মকার: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। শুনানির শুরুতেই বেনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য। এদিনের শুনানিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যোগ্য অযোগ্য পৃথকীকরণ করা সম্ভব কিনা? শুনানিতে সেই বিষয়টিতেই জোর দেন প্রধান বিচারপতি।
সিবিআই-এর রিপোর্টে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিয়োগে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা স্বীকার করেছে নিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী শুনানিতে এও জানিয়েছেন, যে বেনিয়মগুলো হয়েছে, তাতে রাজ্যের ক্যাবিনেট সেগুলিতে ইচ্ছা করে সেগুলিতে প্রোকেক্ট করার চেষ্টা করেছে। প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, পৃথকীকরণ কি করা সম্ভব? অর্থাৎ যোগ্য অযোগ্যদের কি আলাদা করা সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার সেটাই করতে চেয়েছে, কারণ সিবিআই একাধিক তথ্য জমা করেছে।
এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জয়দীপ ঘোষও জানিয়েছেন, পৃথকীকরণ সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন কেন পৃথকীকরণ হল না? এসএসসির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “আমাকে বোঝান কেন হাই কোর্ট বলল (যোগ্য-অযোগ্য) আলাদা করা সম্ভব নয়?”
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, সেই সংখ্যাটা শুনে চমকে ওঠেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেন। তার ফলে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয় ওই চাকরিপ্রাপকদের। কিন্তু প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায়, চাকরিহারা হন যোগ্যরাও। আজ তাঁদেরই ভাগ্য নির্ধারণ।