SSC Verdict: ‘ডালমে সবটাই কালা…’ চাকরি বাতিল মামলায় পুরো প্যানেল নিয়ে কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
SSC Verdict: শুনানিতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে বিষয়টি দেখা হচ্ছিল, যে যোগ্য অযোগ্য পৃথকীকরণ করা সম্ভব কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই যা সওয়াল জবাব চলতে থাকে, তাতে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, 'ডাল মে কুছ কালা হ্যয়, ইয়া সব কুছ কালা হ্যয়?' অর্থাৎ স্কুল সার্ভিস কমিশন, এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে রাজ্য সরকার। একাধিক প্রশ্নে, একাধিক প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এদিনের শুনানিতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে বিষয়টি দেখা হচ্ছিল, যে যোগ্য অযোগ্য পৃথকীকরণ করা সম্ভব কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই যা সওয়াল জবাব চলতে থাকে, তাতে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যয়, ইয়া সব কুছ কালা হ্যয়?’ অর্থাৎ স্কুল সার্ভিস কমিশন, এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘মূল মিরর ইমেজ’ অর্থাৎ OMR-এর যে আপলোডেড কপি সেটা আসল কিনা, তা যাচাই করার কোনও অবকাশ এসএসসি-র মূল্যায়নকারী সংস্থা রাখেনি। কোনও আসল ওএমআর শিট নেই। সে প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেন, ২০১৬-র প্যানেলের কিছু ক্ষেত্রে গরমিল রয়েছে নাকি পুরো প্যানেলটাতেই গরমিল রয়েছে?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী দাবি করেছেন, এখন তারা চাকরির থেকেও বেশি চিন্তিত বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। কারণ এত লোকের চাকরি একসঙ্গে চলে গেলে, শিক্ষা পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর বক্তব্য, “এখানে মহাভারত চলছে। তিন জন সঞ্জয়কে লাগবে।” উল্লেখ্য, মহাভারতে সঞ্জয় হলেন এমন এক চরিত্র যাঁর ঐশ্বরিক দৃষ্টিশক্তি অর্থাৎ দিব্যদৃষ্টি ছিল। তিনি ছিলেন ধৃতরাষ্ট্রের উপদেষ্টা।
সব কিছু শোনার পর ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, সাদা-ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর পাওয়া গিয়েছে, তাহলে কি OMR শিটও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে?