AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টেলিগ্রামে পরিচয়, তুরস্কের ট্রিপেই কষা হয়েছিল যাবতীয় ছক, ডাক্তাররা কীভাবে জইশ অপারেটিভ হল, জানলে চমকে যাবেন…

Delhi Blast Investigation Update: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফারজানাদন-ই-দারুল উলম নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক আরেক ব্যক্তি আরেকটি টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাতেন। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত।   

টেলিগ্রামে পরিচয়, তুরস্কের ট্রিপেই কষা হয়েছিল যাবতীয় ছক, ডাক্তাররা কীভাবে জইশ অপারেটিভ হল, জানলে চমকে যাবেন...
দিল্লি বিস্ফোরণের প্ল্যান হল কোথায়?Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 12, 2025 | 2:22 PM
Share

নয়া দিল্লি: চিকিৎসক, তাদের হাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নির্ভর করে। সেই চিকিৎসকরাই নাকি মানুষ মারার প্ল্যান করছিল! বিরাট বড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর বুকে। তবে তার আগেই গত সোমবার, ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লার সামনে আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ১০ জনের দেহ। আহত আরও ২০ জন। হামলাকারীদের তথ্য তালাশ করতে গিয়েই উঠে এসেছে চিকিৎসকদের নাম। একই সঙ্গে তদন্তকারীদের নজরে এসেছে দুটি টেলিগ্রাম গ্রুপ। অনুমান, এই গ্রুপগুলিকেই ব্যবহার করা হত শিক্ষিতদের মগজধোলাই করতে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফারজানাদন-ই-দারুল উলম নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক আরেক ব্যক্তি আরেকটি টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাতেন। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত।

দিল্লি বিস্ফোরণের কেন্দ্রে যে নামটি উঠে এসেছে, তা হল ডঃ উমর নবি। আরেক ইমাম ইরফান আহমেদ ওয়াঘার নামও শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের সঙ্গে সোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান আহমেদের কথা শুরু হয়েছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে কথা হত কাশ্মীর আজাদি নিয়ে। কাশ্মীরীদের কীভাবে অবহেলা করা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেই আলোচনাই গ্লোবাল জিহাদ নিয়ে চর্চা শুরু হয়।

তদন্তকারীদের অনুমান, এই গ্রুপের হ্যান্ডলাররা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিল তুরস্কে। মনে করা হচ্ছে, তুরস্ক ট্রিপেই গোটা সন্ত্রাসবাদী মডিউল তৈরি ও হামলার ছক কষা হয়েছিল। তুরস্ক থেকে ফেরার পরই এরা ভারতে নিজেদের গতিবিধি বাড়ায়। ডঃ মুজ়াম্মিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। ডঃ আদিলের  পোস্টিং সাহারানপুরে হয়।

এই গ্রুপের বাকি সদস্য়রা বিভিন্ন রাজ্যে ছিল। তারা আরও সদস্যদের নিয়োগ করত এবং সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্থাৎ বিস্ফোরক, অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করত। মোট ৯-১০ জন মিলে কাজ করত। মুজাম্মিল, শাহিন ও উমরও এর সদস্য ছিল। এই তিনজনই নিজেদের পেশাকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন জিনিসপত্র, বিস্ফোরক জোগাড় করত।