গঙ্গাজলে ‘পরিশুদ্ধ’ করোনাও, নদীর জলের নমুনায় মিলল না মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি
No COVID-19 Virus Trace in Ganga: আরটিপিসিআর টেস্টের মাধ্যমে নদীর জলে উপস্থিত নানা ভাইরাসের আরএনএ পরীক্ষা করে তার মধ্যে করোনাভাইরাসও রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়।
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শীর্ষ সীমায় পৌঁছেছিল, সে সময়ে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) গঙ্গানদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছিল হাজার হাজার মৃতদেহ। সন্দেহ ছিল, করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকোতেই গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে গিয়েছিল দুই রাজ্য। এরপরই নদীর জলেও করোনাভাইরাস (COVID-19) ছড়িয়ে পড়েছে কিনা, তা জানার জন্য সরকারের তরফে গবেষণা করা হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত সেই গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, গঙ্গার জলে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি।
জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে মিশন ক্লিন গঙ্গা, কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের অধীনে লখনউয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টক্সিকোলজি রিসার্চ এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফে এই গবেষণাটি করা হয়। দুই দফায় কনৌজ, উন্নাও, কানপুর, এলাহাবাদ, বারাণসী, বালিয়া, বক্সার, গাজিপুর, পটনা ও ছাপড়ায় গঙ্গানদীর জল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হয়।
আরটিপিসিআর টেস্ট(RT-PCR Test)-র মাধ্যমে নদীর জলে উপস্থিত নানা ভাইরাসের আরএনএ (RNA) পরীক্ষা করে তার মধ্যে করোনাভাইরাসও রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়। একইসঙ্গে নদীর জৈব চরিত্র নিয়েও গবেষণা করা হয়। সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নদীর জল থেকে যে নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন প্রথমে উত্তর প্রদেশে নদীতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। ভাটা শুরু হতেই নদী চরেও সারি সারি মৃতদেহ দেখা যায়। কিছুদিন বাদেই একই চিত্র দেখা যায় বিহারেও। এরপরই কেন্দ্রের তরফে যে সমস্ত রাজ্যগুলির উপর দিয়ে গঙ্গা নদী অতিবাহিত হয়েছে, সেখানে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। নদীতে দেহ ভাসছে কিনা, তা দেখার জন্য বিশেষ নজরদারি দলও নিয়োগ করা হয় রাজ্য সরকারগুলির তরফে।