নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বেজে উঠেছে নির্বাচনী ডঙ্কা। ভোটযুদ্ধ ঘিরে যুযুধান হয়ে উঠেছে শাসক-বিরোধী শিবির। আপকে পর্যদুস্ত করতে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি নিয়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। সর্বক্ষণ চলছে নির্বাচনী প্রচার। এবার দিল্লির রাজনৈতিক পিচে ব্যাট ধরলেন খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গের রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন করোলবাগে বিজেপি প্রার্থী দুষ্মন্ত গৌতমের সমর্থনে প্রচারে নামলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। রাজধানীর রাজনৈতিক পিচে হাত খুলে ব্যাট চালালেন তিনি। বাঙালি প্রবণ এলাকায় হিন্দিবলয়ের বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করলেন বাঙালি রাজ্য সভাপতি। আর তার মাঝেই তোপ দাগলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে।
কী বললেন তিনি? দিল্লির নির্বাচনে ভার বাড়াতে কেজরীবালকে কাঠগড়ায় টেনে আনলেন সুকান্ত। তকমা দিলেন রাবণের। মূলত, আয়ুষ্মান ভারত-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প দিল্লিতে বাস্তবায়িত না করার প্রসঙ্গেই আপ প্রধানের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প, বিশেষ করে আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে মনের কোণে ক্ষোভ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বহুদিনের। দিল্লির মতোই বাংলাতেও ‘আয়ুষ্মান ভারতের’ তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরিবর্তে বাংলার মানুষকে উপহার দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সাথী। ফলত, এই প্রসঙ্গে কেজরীবালের সঙ্গেই মমতার বিরুদ্ধে যে তোপ দাগবেন তিনি, তা খুবই স্বাভাবিক।
প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সুকান্ত। কেজরীবালের মতোই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দিল্লির নির্বাচনেও পদ্ম শিবিরের হাতিয়ার যে সেই পুরনো হিন্দু-হিন্দুত্ব, তা মান্যতা পেল সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে। দিল্লি ও বঙ্গকে এক সারিতে এনে তিনি বলেন, ‘শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এখানেও ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের গোপন প্রচেষ্টা চলছে। হিন্দুদের সংখ্যা কমলেই এই অপচেষ্টা বাস্তবায়িত হবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘NRC-CAA এর বিরোধিতা যারা করছেন, তারাই তলে তলে এই ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’