Supreme Court-ECI: ‘নাম বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটার কারা?’ SIR মামলায় উঠল বড় প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্ম (ADR)-র তরফে দাবি করা হয় যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা কারা এবং তারা মারা গিয়েছেন নাকি অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করেনি।

নয়া দিল্লি: বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৯ অগস্টের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআরের অস্বচ্ছতা রেখেই বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্ম (ADR)-র তরফে দাবি করা হয় যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা কারা এবং তারা মারা গিয়েছেন নাকি অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করেনি।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “৬৫ লক্ষ ভোটারের যে নাম বাদ গিয়েছে, তারা কারা, তা উল্লেখ করা হয়নি। ব্লক স্তরে রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই তালিকা দেওয়া হয়নি”। তিনি আরও দাবি করেন, বুথ লেভেল অফিসারদের সুপারিশ না মেনেই ভোটার লিস্টে নাম যোগ বা বাদ দেওয়া হয়েছে। “যাদের নাম তালিকায় তোলা হয়েছে, তাদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষই ১১টি নথি জমা করেননি। বিএলও-রাও তথ্য যাচাই না করে নিজেরাই ফর্ম পূরণ করেছেন।”
এ দিন বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চের তরফে এ দিন কেন্দ্রকে বলা হয়, আগামী ৯ অগস্টের মধ্যে এর জবাব দাখিল করতে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রতি ব্লক স্তরের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে কি তা রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠানো হয়েছিল কি না।
নির্বাচন কমিশনের তরফে সেই দাবি খারিজ করে জানানো হয় যে খসড়া ভোটার তালিকা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ভাগ করা হয়েছে, তেমনই জনগণের কাছেও তুলে ধরা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে তখন বলা হয়, “তাহলে জবাবে সেটা জানান। কোন কোন রাজনৈতিক দলকে খসড়া তালিকা পাঠানো হয়েছে, তার লিস্ট জমা দিন, যাতে পিটিশনাররাও যাচাই করতে পারেন। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে প্রত্যেক ভোটার যেন অবগত থাকেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার সুযোগ পান। রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তথ্য থাকতে হবে।”
আগামী ১২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

