ছেলের পছন্দের পাত্রীকে বিয়েতে বাধা দেওয়া কি আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার সামিল? বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Jan 27, 2025 | 4:40 PM

Supreme Court: এক যুবতী আত্মঘাতী হওয়ার পরই এই মামলার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে ওই যুবতীর সঙ্গী তথা প্রেমিকের মা তাঁদের বিয়েতে বাধা দেন। এমনকী ওই যুবতীর উদ্দেশে কু-কথা বলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

ছেলের পছন্দের পাত্রীকে বিয়েতে বাধা দেওয়া কি আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার সামিল? বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ‘আকাশ’ ছুঁয়ে ফেললেও বিয়ে নিয়ে সমাজে আজও অনেক ছুৎমার্গ আছে। সমাজ বা পরিবারের চাপে অনেক সম্পর্কই বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় না। আর সেই বিয়েতে বাধা দেওয়া নাকি আত্মহত্যায় উস্কানি দেওয়ার সামিল। এমনই অভিযোগ উঠেছিল এক মহিলার বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল সেই মামলা। শেষ পর্যন্ত সামনে এল শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ।

এক যুবতী আত্মঘাতী হওয়ার পরই এই মামলার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে ওই যুবতীর সঙ্গী তথা প্রেমিকের মা তাঁদের বিয়েতে বাধা দেন। এমনকী ওই যুবতীর উদ্দেশে কু-কথা বলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে যুবতী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ হয়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি নাগারত্ন ও বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।

সব পক্ষের কথা শুনে ও রেকর্ড খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিয়েতে বাধা দেওয়া কখনও আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়া হতে পারে না। এছাড়া ওই মামলায় মহিলার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের উল্লেখ আছে, তার সঙ্গে রেকর্ডের কোনও মিল নেই বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্ট আরও উল্লেখ করেছে যে, বিয়ে না হওয়ায় ওই যুবতীর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না, এমন প্রমাণ মেলেনি। আদালত মনে করছে, যুবকের মা যদি বিয়েতে আপত্তিও জানিয়ে থাকেন, তাহলেও তা আত্মহত্যায় প্ররোচণা নয়।যুবতী ও তাঁর পরিবারের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল, এমন কোনও প্রমাণও পায়নি শীর্ষ আদালত।