Supreme Court News: ‘ছিন্ন হওয়া সম্পর্কের শেষ পরিণতি ধর্ষণ মামলা নয়’, বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court on Break Up: এদিকে আবার জল অনেকটাই গড়িয়ে গিয়েছিল। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শেষ হওয়ার কালেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন ওই আইনজীবী ও তাঁর মহিলা মক্কেল। লিপ্ত হয়েছিলেন শারীরিক সম্পর্কেও। কিন্তু সেই সম্পর্কই কালের বেনিয়মে পরিণত হল ধর্ষণ মামলায়।

নয়াদিল্লি: দুই পক্ষের সম্মতিতে ছিন্ন হওয়া সম্পর্কের পরিণতি কখনওই ধর্ষণ মামলা হতে পারে না। সোমবার একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। পাশাপাশি, সেই মামলাকেও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলার নেপথ্য়ে
২০২৪ সাল। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় ধর্ষণ মামলা। জানা যায়, যিনি এই মামলা দায়ের করেছেন, তিনি খোদ আইনজীবীর মক্কেল। ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের মামলার সূত্র ধরেই সেই আইনজীবীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলা চলাকালীন প্রতিদিনের সাক্ষাৎ একে অপরের কাছে নিয়ে আসে তাঁদের। এরই মধ্য়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় ‘জয়’ হয় মহিলার। তাঁর দাবি মতো ভরণপোষণ দিতে রাজি হয়ে যায় স্বামী।
এদিকে আবার জল অনেকটাই গড়িয়ে গিয়েছিল। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শেষ হওয়ার কালেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন ওই আইনজীবী ও তাঁর মহিলা মক্কেল। লিপ্ত হয়েছিলেন শারীরিক সম্পর্কেও। কিন্তু সেই সম্পর্কই কালের বেনিয়মে পরিণত হল ধর্ষণ মামলায়। ট্রায়াল কোর্ট হয়ে গড়াল সরাসরি দেশের শীর্ষ আদালতে। সোমবার এই মামলা শুনছিলেন বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি আর মহাদেবন।
ওই মহিলার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন অভিযুক্ত আইনজীবী। এমনকি, এই সহবাসের পরিণতিও ‘সামাল’ দিতে হয়েছে তাঁকেই। অভিযোগকারীর দাবি, একাধিকবার গর্ভধারণ করার পরেও অভিযুক্ত আইনজীবীর নির্দেশে গর্ভপাত করিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও তাঁকে বিয়ে করেননি আইনজীবী। দিনের পর দিন শুধুই ঘুরিয়ে গিয়েছেন তাঁকে। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন মহিলা।
অন্যদিকে আইনজীবীর দাবি, এই অভিযোগ প্রতিশোধস্পৃহা সম্পন্ন। ওই মহিলা তাঁর কাছে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন, যা তিনি দিতে রাজি হননি। তারপরই এই মামলা দায়ের হয়। এদিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর ধর্ষণ মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, উভয়ের মধ্য়ে ঘনিষ্ঠতা কোনও প্রতিশোধ কিংবা যৌন নির্যাতনের অংশ নয়, বরং তা তাঁদের মধ্যে চলা সম্পর্ককের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছে। আর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাসের মামলায় যথাযথ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই শুনানির পর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে আদালত। বেঞ্চের যুক্তি, পারস্পরিক সম্মতি ও ভালবাসার জেরে তৈরি হওয়া শারীরিক সম্পর্ক যদি বিয়ে পর্যন্ত পরিণতি না পায়, তা হলে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না।
