স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বনাম কমিশনার, ২ ‘প্রাক্তনে’র লড়াইয়ে সিবিআই তদন্তেই সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তকেই মান্যতা দিয়ে বলা হয়, "অভিযোগ ওঠার পরই পদত্যাগ করেননি অনিল দেশমুখ। হাইকোর্টের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হোক।"
নয়া দিল্লি: সিবিআই(CBI)-র হাত থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র দারস্থ হয়েছিলেন অনিল দেশমুখ(Anil Deshmukh) ও মহারাষ্ট্র সরকার(Maharashtra Government)। কিন্তু সেই আর্জিকে বাতিল করে দিল শীর্ষ আদালত। প্রাক্তন পুলিশকর্তা বনাম প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লড়াইয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন বলেই জানাল আদালত। দুই শীর্ষকর্তা একসময়ে একসঙ্গেই কাজ করতেন, কিন্তু নিজেদের মধ্যে সমস্যার পরই তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট।
মুম্বই পুলিশের কমিশনার পদ থেকে বদলির পরই পরমবীর সিং (Param Bir Singh) অভিযোগ এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ(Anil Deshmukh)-র বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, পুলিশকর্মীদের তিনি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিতেন অনিল দেশমুখ। এই বিষয়ে জলঘোলা শুরু হতেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার পরমবীর সিং। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে হাইকোর্টে আর্জি জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে আর্জি জানালে আগামী ১৫ দিনের মযে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে, আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন অনিল দেশমুখ। পরেরদিনই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানান। এ দিন সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি এসকে কৌলের বেঞ্চ বলা হয়, “এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ এবং ঘটনায় পুলিশ কমিশনার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্ত কেন হবে না?”
আরও পড়ুন: ‘সেক্স করতে চাই’, সুন্দরী বিমান সেবিকাকে যৌন প্রস্তাব, জালে কামুক নাবালক
শীর্ষ আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তকেই মান্যতা দিয়ে বলা হয়, “অভিযোগ ওঠার পরই পদত্যাগ করেননি অনিল দেশমুখ। হাইকোর্টের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এর অর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর অফিস আঁকড়ে পড়েছিলেন। তদন্তকারী সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হোক।”
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সপক্ষে হাজির আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ যে কেউ আনতে পারে। আমি এটা বলছি না যে প্রাথমিক তদন্ত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমার মতে বয়ান রেকর্ড করা হোক এবং তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। বাইরে থেকে তদন্তকারী সংস্থা আনানোর কোনও প্রয়োজন নেই। এতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।”
অন্যদিকে, আদালতে হাজির অনিল দেশমুখও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। ভাজ়ে একজনকে বলেছেন, সে আবার গিয়ে ভুজবলকে বলেন, সেই ব্যক্তি আবার গিয়ে পুলিশ কমিশনারকে বলেছেন। এছাড়াও কমিশনার পদ থেকে সরানোর পরই তিনি এই অভিযোগ এনেছেন।”
আরও পড়ুন: ‘১৫ দিনে আরও ২ মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন’, দাবি বিজেপি নেতার