AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৭০০ টন অক্সিজেন দিতেই হবে দিল্লিকে: সুপ্রিম কোর্ট

অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে দিল্লি সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হয়, "৭০০ টন অক্সিজেন তো দিতেই হবে।"

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৭০০ টন অক্সিজেন দিতেই হবে দিল্লিকে: সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: May 07, 2021 | 12:17 PM
Share

নয়া দিল্লি: আর কোনও বাহানা নয়, রাজধানী দিল্লিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০ টন অক্সিজেন দিতেই হবে, কেন্দ্রকে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্রের বরাদ্দ অক্সিজেন নিয়ে দীর্ধদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিল কেজরীবাল সরকার। তাদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের কাছে যে পরিমাণ অক্সিজেন দাবি করা হচ্ছে, তার অর্ধেক পাঠানো হচ্ছে রাজ্যকে।ফলে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা যাচ্ছে ও রোগী মৃত্যু হচ্ছে।

প্রতিদিন দিল্লির হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ায় কেন্দ্রের কাছে ৭০০ টন অক্সিজেন দেওয়ার আবেদন জানায়। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হয়, “৭০০ টন অক্সিজেন তো দিতেই হবে।” কেন্দ্রের তুলোধনা করে বলা হয়, “যদি কোনও কিছু লুকোনোরই না থাকে, তবে দেখান যে কেন্দ্র কতটা স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে বন্টন করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, কেন্দ্র দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক লড়াই লড়ছে। কেন্দ্রের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “ব্যবস্থপনায় ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে। তবে এটা কোনও রাজনৈতিক নেতা বা অফিসারদের বিরুদ্ধে লড়াই নয়। কেন্দ্রের তরফে  নিজের রায় জানানো হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত চিন্তিত। আমরা কেবল দিল্লি কেন্দ্রিক হয়ে কাজ করতে পারি না। সমস্যা দিল্লিতে কম অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, তা নিয়ে নয়, বরং তাদের বন্টন প্রক্রিয়ায় গাফিলতি থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।”

সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “যদি আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পাই অর্থাৎ দৈনিক ৭০০ টন, তবে দিল্লিতে আরও নয় থেকে সাড়ে নয় হাজার শয্যা তৈরি সম্ভব করোনা চিকিৎসার জন্য। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, অক্সিজেনের অভাবে কাউকে মরতে দেব না।”

আরও পড়ুন: রেমডেসিভির বোঝাই বিমানে গোলযোগ, গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে ক্রাশ-ল্যান্ড করে কোনওমতে বাঁচলেন পাইলটরা