AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

“শ্রীকৃষ্ণের নামে হাজার হাজার গাছ কাটা চলবে না”, উত্তর প্রদেশ সরকারকে কড়া ধমক সুপ্রিম কোর্টের

গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ হিসাবে নতুন চারাগাছ রোপণ এবং ১৩৮.৪১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিল উত্তর প্রদেশ সরকার।

শ্রীকৃষ্ণের নামে হাজার হাজার গাছ কাটা চলবে না, উত্তর প্রদেশ সরকারকে কড়া ধমক সুপ্রিম কোর্টের
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Dec 02, 2020 | 7:04 PM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: কৃষ্ণের কাছে পৌঁছানোর রাস্তা আরও মসৃণ হবে, তাই কাটা পড়বে প্রায় তিন হাজার গাছ। উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই তা রুখে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা চওড়া করার জন্য কয়েক হাজার গাছ কাটা চলবে না। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে খুশি পরিবেশবিদরা।

উত্তর প্রদেশের মথুরা (Mathura) জেলায় শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে যাওয়ার জন্য ২৫ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করার উদ্দেশ্যে ২৯৪০টি গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ হিসাবে নতুন চারাগাছ রোপণ এবং ১৩৮.৪১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিল উত্তর প্রদেশ সরকার।

রাস্তা চওড়া করার জন্য বৃক্ষচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন,”শ্রীকৃষ্ণের নামে হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলতে পারেন না।” নতুন চারাগাছ রোপণের প্রতিশ্রুতির জবাবে আদালতের তরফে পূর্ত বিভাগকে বলা হয়, ১০০ বছর পুরোনো গাছের সঙ্গে একটি চারাগাছের তুলনা হতে পারে না। প্রধান বিচাপতি বোবদে (S A Bobde), বিচারপতি এ এস বোপান্না (A S Bopanna) ও বিচারপতি ভি সুহ্মব্রণ্যমের (V Subramanian) বেঞ্চ জানায়, গাছ অক্সিজেন দেয় এবং কেবল তাদের বাজারমূল্যের উপর ভিত্তি করে গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা যায় না। গাছের আয়ুর হিসাবের বদলে তার অক্সিজেন উৎপন্ন করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে গুরুত্ব বিবেচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন: একগুঁয়ে সরকার, অনড় অন্নদাতারাও! ক্ষেতের লড়াই কীভাবে রাজধানীতে আছড়ে পড়ল?

গাছ কাটার কারণ হিসাবে দ্রুত যান চলাচলের সুবিধাকে দর্শানোয় আদালতও পাল্টা জবাবে জানায়, দ্রুত গতিতে গাড়ি চললে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। যদি যানবাহনের গতি কম হয়, তবে দুর্ঘটনার সংখ্যাও কম হবে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারকে সতর্ক করেই আদালত জানায়, “রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্ভুল রিপোর্ট চাই আমরা।”

আরও পড়ুন: স্ট্যাচু অব ইউনিটির টিকিটের হিসাবে ৫ কোটি টাকার গরমিল! অভিযোগ দায়ের