স্ট্যাচু অব ইউনিটির টিকিটের হিসাবে ৫ কোটি টাকার গরমিল! অভিযোগ দায়ের

দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাদোদরার বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডিপোজ়িট স্লিপ (Diposit Slip)-র সঙ্গে জমা পড়া অর্থের মিল নেই। এরপরই সোমবার রাতে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার একটি এফআইআর দায়ের করেন।

স্ট্যাচু অব ইউনিটির টিকিটের হিসাবে ৫ কোটি টাকার গরমিল! অভিযোগ দায়ের
২০১৮ সালে উন্মোচিত হয় স্ট্যাচু অব ইউনিটি। ছবি সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Dec 02, 2020 | 5:09 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ (Statue of Unity) বা ঐক্যের মূর্তি তৈরিতে বিশাল অঙ্কের খরচ নিয়ে আগেই জলঘোলা হয়েছিল। এবার ব্যাঙ্কে পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা জমা না পড়ায় টিকিটের অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিস।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে গুজরাট (Gujarat)-র নর্মদা জেলার কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটারের এক বিশাল মূর্তি স্থাপন করা হয়, নাম দেওয়া হয় ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ (Statue of Unity)। বিশাল এই স্থাপত্যের উন্মোচন করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গত দেড় বছরে এই পর্যটনস্থল থেকে টিকিট বাবদ যে অর্থ আয় হয় তা সংগ্রহের জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সম্প্রতি একটি অডিটে (Audit) দেখা যায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাদোদরার বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডিপোজ়িট স্লিপ (Diposit Slip)-র সঙ্গে জমা পড়া অর্থের মিল নেই। এরপরই সোমবার রাতে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার একটি এফআইআর দায়ের করেন। ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট বাণী দুধাত জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গ) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবার! ভাতের জন্য ভারতের ভরসায় চিন

বুধবার ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটির’ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তাদের অ্যাকাউন্টে ৫.২৪ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এক আধিকারিক জানান, “এই ঘটনার সঙ্গে স্ট্যাচু অব ইউনিটি কর্তৃপক্ষের কোনও সংযোগ নেই। আর্থিক গরমিলের সম্পূর্ণ বিষয়টিই ব্যাঙ্ক ও অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার মধ্যে ঘটেছে। ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট ওই অর্থ আমাদের অ্যাকাউন্টে জমা করেছে।”

২০০৩ সাল থেকে ব্যাঙ্ক ওই অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’-র টিকিটের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বও ওই সংস্থার হাতেই তুলে দেওয়া হয়। তবে ওই ব্যাঙ্কে ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ কর্তৃপক্ষের যে দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাতে ৫.২৪ কোটি টাকা জমা পড়েনি বলেই অডিটে জানা গিয়েছে।

পুলিসের তরফে জানানো হয়, যাবতীয় রেকর্ড যাচাই করে তারপরই জানা যাবে কেভাদিয়ায় অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে কারা ছিলেন। এরপরই যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: জুয়াখেলায় রাশ টানতে অন্ধ্র প্রদেশে নিষিদ্ধ হল অনলাইন গেম