Pahalgam Tourist Attack: ‘গুলি করে হাঃ হাঃ করে হাসছিল…’ কী ভাবে খুন করেছিল শৈলেশকে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
Pahalgam Tourist Attack: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। যার মধ্যে ৩ জন গুজরাটি। বাকি দুজন ভাবনগরের বাসিন্দা আতিশ পারমার এবং তাঁর ছেলে। বৃহস্পতিবার তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

সুরাটের বাসিন্দা শৈলেশ কালাথিয়া, স্ত্রীক ঘুরতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার সময় ওখানেই ছিলেন তাঁরাও। আর বাড়ি ফেরা হয়নি সুরাটের শৈলেশের, স্ত্রীর সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছেন তিনি। স্ত্রী বলছেন ‘কী ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর ওরা, আমার স্বামীকে হাঃ হাঃ করে হাসছিল। কোনও অনুশোচনা ছিল না ওঁদের মধ্যে।”
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। যার মধ্যে ৩ জন গুজরাটি। বাকি দুজন ভাবনগরের বাসিন্দা আতিশ পারমার এবং তাঁর ছেলে। বৃহস্পতিবার তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এই সময়ে শোক ফুটে ওঠে নিহত শৈলেশ কালাথিয়ার স্ত্রী শীতলবেন কালাথিয়ার মুখে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকেও তিনি জানান, জঙ্গিরা কোনও দয়া দেখায়নি। তাঁর স্বামীকে হত্যা করার পরে হাসাহাসি করছিল তাঁরা।
তিনি বলেন, “এক সন্ত্রাসী প্রথমে আমাদের কাছে আসে। জিজ্ঞেস করে আমরা হিন্দু না মুসলিম? আমরা হিন্দু জানতে পেরেই আমার স্বামীকে গুলি করে। ওঁর মতোই, অন্যান্য হিন্দু পুরুষদেরও তাঁদের ছেলে-মেয়েদের সামনে গুলি করে। আমার স্বামীকে গুলি করার পর ওরা হাসছিল। মৃত্যু না আসা পর্যন্ত ওই স্থান ত্যাগ করেনি।”
শৈলেশের ছেলে নক্ষ বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনিন জানান, বাবাকে হিন্দু বলে চিহ্নিত করে মায়ের সামনে এক সন্ত্রাসী গুলি করে হত্যা করে।
শৈলেশ কালাথিয়া তাঁর স্ত্রী শীতলবেন, ছেলে নক্ষ এবং বড় মেয়ে নীতির সঙ্গে পহেলগাঁওতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। সেই সময় বৈসরনে নেমে আসে এই সাঙ্ঘাতিক হামলা।
নক্ষ বলেন, “আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব পর্যটক পহেলগাঁতে আশ্রয়ের সন্ধানে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। অবশেষে দুই সন্ত্রাসী আমাদের খুঁজে পায় এবং আমাদের সকলকে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। পুরুষদের দুটি দলে ভাগ করে দেয় – হিন্দু এবং মুসলিম। তারপর, আমার বাবা সহ সব হিন্দু পুরুষদের গুলি করে খুন করে পালিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “হামলার সময় ওই এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন পর্যটক ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম আমাকেও মেরে ফেলবে। হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের আলাদা করার পর, সন্ত্রাসীরা তাঁদের ‘কলমা’ পাঠ করতে বলেন। মুসলমানরা কলমা পাঠ করেছিল বলে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু যারা পাঠ করতে পারেনি তাঁদের গুলি করে খুন করা হয়েছিল।”





