AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MP-Flat: এক-একটি ফ্ল্যাটে ৫ খানা বেডরুম, আলাদা অফিস, সাংসদদের জন্য ৫৫০ কোটি খরচে তৈর হল এই বিল্ডিং

ফ্ল্যাটগুলির অবস্থান সবথেকে সুবিধাজনক। ল্যুটেন্স দিল্লি হল রাজধানীর বুকে সবচেয়ে সুরক্ষিত ও অভিজাত এলাকা। ব্রিটিশ জমানায় আর্কিটেক্ট এডউইন ল্যুটেন্সের হাতে সাজানো এই এলাকায় থাকেন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অভিজাত ব্যক্তিত্বরা।

MP-Flat: এক-একটি ফ্ল্যাটে ৫ খানা বেডরুম, আলাদা অফিস, সাংসদদের জন্য ৫৫০ কোটি খরচে তৈর হল এই বিল্ডিং
এই ফ্ল্যাটগুলিতেই থাকার ব্যবস্থাImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Aug 11, 2025 | 3:18 PM
Share

নয়া দিল্লি: সাংসদদের জন্য দিল্লিতে ১৮৪টি নতুন বাসভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার দিল্লির বাবা খড়ক সিং মার্গে সাংসদদের জন্য ১৮৪টি নতুন ফ্ল্যাট উদ্বোধন করলেন তিনি। কমপ্লেক্সে একটি সিঁদুর গাছও রোপণ করেন তিনি।

এই বাসভবনগুলিতে রয়েছে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এগুলি একেবারে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এতে গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাসভবনগুলিতে ভূমিকম্প হলেও কোনও প্রভাব পড়বে না। জাতীয় ভবন কোড ২০১৬-র মানদণ্ড অনুসারে প্রস্তুত করা হয়েছে এটি। এগুলিকে বলা হচ্ছে টাইপ ৭ ফ্ল্যাট (Type- VII)।

প্রতিটি ফ্ল্যাটেই থাকার এবং অফিসের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি, কর্মীদের জন্য ঘর এবং কমিউনিটি সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। সাংসদদের নিরাপত্তার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আসলে, দিল্লিতে সাংসদদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন নেই। সে কথা বিবেচনা করেই এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সীমিত জমির কারণে, বহুতল ভবন নির্মাণ করে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সটি সংসদ ভবনের কাছে অবস্থিত, ফলে সাংসদদের যাতায়াতেও কোনও অসুবিধা হবে মা।

কী কী সুবিধা রয়েছে এই নতুন ফ্ল্যাটগুলিতে?

ফ্ল্যাটগুলির অবস্থান সবথেকে সুবিধাজনক। ল্যুটেন্স দিল্লি হল রাজধানীর বুকে সবচেয়ে সুরক্ষিত ও অভিজাত এলাকা। ব্রিটিশ জমানায় আর্কিটেক্ট এডউইন ল্যুটেন্সের হাতে সাজানো এই এলাকায় থাকেন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অভিজাত ব্যক্তিত্বরা।

সাংসদদের জন্য ৫০০০ স্কোয়ার ফুটের এক-একটি করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয়েছে। ফ্ল্য়াটের মেইনটেন্যান্স খরচ অনেক কম রাখা হয়েছে।

ফ্ল্যাট তৈরিতে পরিবেশের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে গ্রিন টেকনোলজি। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, আধুনিক বর্জ্য নিষ্কাশনের সুবিধাও রয়েছে।

প্রতিটি ফ্ল্যাটে ৫টি করে বেডরুম রয়েছে। এছাড়াও আলাদা করে সাংসদদের জন্য পৃথক অফিসেরও জায়গা রয়েছে।

২৫ তলা পর্যন্ত ভবনগুলি তৈরি করা হয়েছে। মাটির নীচে রয়েছে দোতলা বেসমেন্ট। ৫০০ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

সাপোর্ট স্টাফ, পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট, সচিবদের জন্য আলাদা থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে।

প্রতিটি বেডরুমের সঙ্গে রয়েছে অ্যাটাচড টয়লেট, রয়েছে সুসজ্জিত মডিউলার কিচেন।

প্রকল্পের জন্য সব মিলিয়ে ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে কেন্দ্রের। এক একটি ফ্ল্যাট ১০০ বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে কোনও মেরামতি ছাড়াই, দাবি নির্মাণকারী সংস্থার।

কমপ্লেক্সের ভিতরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে, আলাদা কমিউনিটি হল রয়েছে, খাবার সরবরাহের জন্য চারটি রিটেল আউটলেটও রয়েছে কমপ্লেক্সের ভিতর।