নয়া দিল্লি: আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকেই কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দল ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে। এই আবহে একাধিক রাজনৈতিক সমীকরণ উদ্ভূত হচ্ছে। ২৪-র সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীরা কোন সমীকরণে কেন্দ্রে মোদীকে ঠেকাবে তা নিয়েই বাড়ছে জল্পনা। এই আবহেই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির একটি সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তবে সেই সম্ভবনা যে খুব ক্ষীণ তা সাম্প্রতিক ঘটনায় ফুটে উঠেছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী ঐক্য কি সোনার পাথর বাটি? বা তৈরির আগেই বিরোধী ঐক্য ভেঙে যাবে না তো? এই সমস্ত জল্পনার মাঝেই একাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্বকে বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। কিন্তু এই আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও এই বৈঠকে যাচ্ছে না তৃণমূল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনেই একাধিক বিরোধী নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। আজ সন্ধে ৬ টা থেকেই এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য একাধিক বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলে ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছে চিঠি আসে। তবে এই নিমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও গরহাজির থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের দাবি, এই আমন্ত্রণে দল অখুশি। সভানেত্রীর নামে কেন চিঠি নয়? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এদিকে অতীতে অনেকবার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রে বিজেপিকে রুখতে কোনও বিরোধী ঐক্য তৈরি হলেও তার নেতৃত্বে থাকতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দড়ি টানাটানিতেও ভেস্তে যেতে পারে বিরোধী ঐক্য।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলির মতামত ও ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। তবে এই বৈঠকে তৃণমূলের গরহাজিরায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি তৈরির আগেই ফাটল বিরোধী ঐক্যে? প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এরকম আরও একটি ঘটনার নজির দেখা গিয়েছে। গত ১৮ মার্চ অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই সেই নৈশভোজে যোগ দেননি বলে খবর। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বিরোধী ঐক্য।