Saayoni Ghosh Arrested : খুনের চেষ্টার অভিযোগ! ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষ
AITC Tripura: দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে।
আগরতলা : ত্রিপুরায় গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তৃণমূল যুবর সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে আজ থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে। আপাতত তাঁকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। জানা গিয়েছে তৃণমূল যুবর সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ১২০ বি, ৫০৬, ১৫৩ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ রাতে পুলিশ হেফাজতেই রাত কাটাতে হবে তৃণমূলের যুব নেত্রীকে।
গ্রেফতারির পর বিরক্ত সায়নী জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক লড়াই জিনিসটা বিজেপির সিলেবাসে কোনদিনও ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। ক্ষমতার দম্ভে, প্রশাসন ও গুন্ডাবাহিনীকে ব্যবহার করে, ভয় দেখিয়ে ভারতবর্ষের মানুষকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রকে এভাবে ভুলুণ্ঠিত হতে তৃণমূলের সৈনিকরা দেবে না।”
উল্লেখ্য, আজ সকাল থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতির আবহাওয়া বেশ গরম। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আগরতলার এক বেসরকারি হোটেলে পৌঁছায় ত্রিপুরার মহিলা পুলিশের এক বিশাল বাহিনী। সেখানেই ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev), সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। হোটেল কর্মচারীদের কাছে খবর পেয়ে একে একে সেখানে এসে হাজির হন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের কাছে তাঁরা জানতে চান হঠাই করে কী কারণে তাদের এই আগমণ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান সায়নী ঘোষকে একবার থানায় যেতে হবে, তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বলার রয়েছে পুলিশের।
জানা গিয়েছে, সায়নীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। সায়নীর বিরুদ্ধে যে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার সূত্রপাত গতকাল। শনিবার ত্রিপুরার চৌমহনি এলাকায় শাসক দলের একটি সভার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। শোনা যাচ্ছে, সেই সময় ত্রিপুরার শাসক দলের উদ্দেশে নাকি তৃণমূল যুব নেত্রী বলেছিলেন, “ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হাতে গুনে ৫০ জন লোক। এর থেকে বেশি আমাদের প্রার্থীদের সভায় দেখা যাচ্ছে।” সূত্রের খবর, এরপরই সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। তখন ভিড়ের মধ্যে থেকে জোরে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সায়নী। ঘটনায় কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, “বাংলা থেকে ভাড়া করা লোক নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরায় হাওয়া গরম করছে তৃণমূল। ত্রিপুরাকে অশান্ত করতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।”
যদিও এই গোটা অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সুস্মিতা দেবের বক্তব্য সায়নীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচাল করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা বলছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকও। তাঁর বক্তব্য, বিজেপিরে নির্দেশে কাজ করছে পুলিশ। ভয়ঙ্কর অবস্থা চলেছে ত্রিপুরায়। এই ধরনের ঘটনাকে জঙ্গল রাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।