নয়া দিল্লি: ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে এবং বিশ্বস্ত জাতি গড়তে ডিজিটাল ডাটা প্রোটেকশন বিল তথা ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলটি (Digital Data Protection Bill) দ্রুত কার্যকর করা জরুরি। কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) কাছে এমনই আবেদন জানিয়েছে টেক-ইন্ডাস্ট্রি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য টেক ইন্ডাস্ট্রিকে নিরাশ করেননি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং যত দ্রুত সম্ভব এটি পুনর্বিবেচনা করে সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিল (Digital Data Protection Bill) নিয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব বিলটি পুনর্বিবেচনা করে সংসদে পেশ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যদিও সংসদীয় কমিটিতে বিলটি অনুমোদিত হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ক্ষেত্রে গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষা রাখতেই ডিজিটাল ডাটা প্রোটেকশন বিল তথা ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের খসড়া প্রকাশ করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই বিলে ভারতে একটি ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া গঠনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রীতিমতো আইন করে নাগরিকদের ব্যক্তিগত বিষয়ে নজরদারি চালাতে চাইছে সরকার। বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার জেরে সেই বিলটি বিবেচনার জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়। কমিটি একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব দিলে বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তারপর গত বছর সংশোধিত আরও একটি খসড়া প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই বিলের মূল নীতি হল, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংস্থাকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য আদায়ের ক্ষেত্রেও কিছুটা সীমাবদ্ধতা আনা হয়। যতটুকু প্রয়োজন, ততটাই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেটাও সুনিশ্চিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে শিশু এবং অভিভাবকেরা পরস্পরের তথ্য দেখতে পারবে বলে বিলে উল্লিখিত। ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলের নীতি লঙ্ঘন করলে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত বিলটি সংসদে পাশ হয়নি। বিলটিতে এখনও কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। ফলে পুনরায় বিলটি অনুমোদনের জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেটি একেবারে হিমঘরে।