Hardeep Singh Puri: শীঘ্রই দাম কমছে পেট্রোল-ডিজেলের? কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বললেন এই কথা…
Petrol-Diesel Price: জ্বালানি তেলের দাম কমানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, "গত ত্রৈমাসিক ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি ঠিকঠাক লাভ করেছে। অনেকটাই ক্ষতিপূরণ হয়েছে। আগামিদিনে দেখা যাক কী করা যেতে পারে। "

নয়া দিল্লি: শীঘ্রই মধ্য়বিত্তের জন্য খুশির খবর শোনাতে চলেছে মোদী সরকার। শনিবার এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-র নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে হরদীপ সিং পুরী জানান, যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের (Crude Oil) দাম অপরিবর্তিত থাকে, তবে দেশের তৈল উৎপাদক ও বিক্রয়কারী সংস্থাগুলি পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel Price) কমানো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে।
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি। তেলের দাম যাতে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করেছে মোদী সরকার। আগামিদিনেও যাতে গ্রাহকদের কোনও রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে না পড়তে হয়, তাও নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, “গত ত্রৈমাসিক ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি ঠিকঠাক লাভ করেছে। অনেকটাই ক্ষতিপূরণ হয়েছে। আগামিদিনে দেখা যাক কী করা যেতে পারে।”
এরপরই তিনি বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেসকে ‘বিনামূল্যে সামগ্রী বা পরিষেবা’-র রাজনীতি করা নিয়ে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “কেউ চাইলে সমস্ত জিনিসই বিনামূল্যে দিয়ে দিতে পারে, কিন্তু তখন তারা খয়রাতি রাজনীতির ভয়ঙ্কর গণ্ডিতে প্রবেশ করে যায়।”
সম্প্রতিই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রাফালে সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বিদেশের মাটিতে যে মন্তব্য় করেছিলেন, তার পাল্টা জবাব দিয়ে হরদীপ সিং পুরী বলেন, “রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসযোগ্য়তার উপরে নির্ভর করে। আর রাহুল গান্ধীর বক্তব্য আগেও মিথ্যা বলে প্রমাণ হয়েছে। বিদেশে ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ ওঁর (রাহুল গান্ধী)-র দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের অবস্থার কথা মনে পড়েছে। মনে রাখা উচিত, ১৯৮৩-৮৪ সালে কংগ্রেস শাসনে শিখ ও মুসলিমদের গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল।”
