আর কোনোদিন IAS হওয়া হবে না বিতর্কিত পূজার, UPSC নিল চরম ব্যবস্থা

UPSC cancels Puja Khedkar's provisional candidature as IAS: পুরো দস্তুর আইএএস অফিসার হওয়ার আগেই তাঁর হম্বি-তম্বিতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। তারপরই সামনে এসেছিল 'প্রশিক্ষণার্থী আইএএস' অফিসার, পূজা মনোরমা দিলীপ খেড়কর ওরফে পূজা খেড়করের বিচিত্র কাহিনি। প্রশ্ন উঠেছিল, আইএএস হওয়ার জন্য তাঁর 'ওবিসি নন-ক্রিমি লেয়ার' এবং 'প্রতিবন্ধী' কোটার ব্যবহার নিয়ে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করল ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষ।

আর কোনোদিন IAS হওয়া হবে না বিতর্কিত পূজার, UPSC নিল চরম ব্যবস্থা
আইএএস হওয়ার স্বপ্ন শেষImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 31, 2024 | 4:43 PM

নয়া দিল্লি: পুরো দস্তুর আইএএস অফিসার হওয়ার আগেই তাঁর হম্বি-তম্বিতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। আর তারপরই সামনে এসেছিল ‘প্রশিক্ষণার্থী আইএএস’ অফিসার, পূজা মনোরমা দিলীপ খেড়কর ওরফে পূজা খেড়করের বিচিত্র কাহিনি। প্রশ্ন উঠেছিল, আইএএস হওয়ার জন্য তাঁর ‘ওবিসি নন-ক্রিমি লেয়ার’ এবং ‘প্রতিবন্ধী’ কোটার ব্যবহার নিয়ে। তাঁর প্রতিবন্ধকতা কতটা সত্যি, তাই নিয়ে। চতুর্দিকে এই ঘটনা নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে, তদন্তে নেমেছিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি (UPSC)। বুধবার (৩১ জুলাই), বিতর্কিত এই প্রশিক্ষণার্থী আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করল ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষ।

ইউপিএসসি জানিয়েছে, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২২-এর আবেদনে অনিয়মের জন্য, আইএএস অফিসার হিসেবে পূজার অস্থায়ী প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে তিনি ইউপিএসসি পরিচালিত আর কোনও পরীক্ষাও দিতে পারবেন না। অর্থাৎ, তাঁর আর কোনোদিনই আইএএস অফিসার হওয়া সম্ভব নয়।

এদিন ইউপিএসসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর নাম, তাঁর বাবা এবং মায়ের নাম, তাঁর ছবি/স্বাক্ষর, তাঁর ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকান পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় জাল করে, নিয়মের অধীনে অনুমোদিত যে পরীক্ষা দেওয়ার সীমা রয়েছে, তা অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, জেনারেল ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ ৬ বার এবং ওবিসি ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ ৯ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায়।

পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে শারীরিক অক্ষমতা প্রমাণের জন্য জাল নথি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। ইউপিএসসি পরীক্ষার আবেদনপত্রে পূজা দাবি করেছিলেন, তাঁর দৃষ্টিশক্তিতে প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে, আটবার ডাকার পরও তিনি এইমস হাসপাতালে গিয়ে এমআরআই করে তাঁর দৃষ্টিশক্তি যাচাই করাননি। দাবি করেছিলেন, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে বলে তিনি এমআরআই করাতে পারেন না। এরপর, পুনের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এমআরআই রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তিনি। সেই রিপোর্টটি এবং তাঁর ওবিসি সার্টিফিকেট জাল ছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার পর, ইউপিএসসি পূজাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কোনও জবাব না দেওয়ায়, এই পদক্ষেপ করল ইউপিএসসি।

সপ্তাহ দুয়েক আগে, মহারাষ্ট্র সরকারের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকেও পূজা খেড়করকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রশিক্ষণ স্থগিত রেখে, তাঁকে মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। ইউপিএসসি-র অভিযোগের ভিত্তিতে পূজার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর-ও দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির এক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন পূজা। এদিনই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, পুনের এক আদালত এক জমি বিবাদের ফৌজদারি মামলায়, পূজা খেড়করের মাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল।