AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tariff: আজ থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক, কী প্রভাব পড়তে পারে?

US Tariffs: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরও ভারত যে মাথা নত করবে না, তা একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২ দিন আগেই গুজরাটে এক সভায় তিনি বলেন, "যতই চাপ আসুক না কেন, তার মোকাবিলায় আমরা শক্তিবৃদ্ধি করে যাব। মোদীর কাছে কৃষক, গবাদি পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।"

Tariff: আজ থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক, কী প্রভাব পড়তে পারে?
৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়বে?
| Updated on: Aug 27, 2025 | 8:59 AM
Share

ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি: চাপের কাছে মাথা নত করেনি ভারত। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেছে। তাই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা মতো আজ (বুধবার) থেকেই আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে। মঙ্গলবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হোয়াইট হাউস। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সময় বুধবার সকাল থেকে আমেরিকায় রফতানিকৃত ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে। এর ফলে চিংড়ি, রেডিমেড পোশাক ও চামড়া শিল্পে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারত যখন আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার কথা বলছে, তখন গত কয়েকমাসে ট্রাম্পের একের পর এক মন্তব্যে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন বেড়েছে। কখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তাঁর জন্যই অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। আবার ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত যে রাশিয়ার থেকে শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। এই তেল তারা খোলা বাজারে বিক্রি করে বিরাট মুনাফাও লাভ করছে। রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনে কত মানুষ মরল, তাতে তাদের কিছুই এসে যায় না।”

নয়াদিল্লি এর জবাবও দিয়েছিল। ট্রাম্পকে জবাব দিয়ে ভারত জানায়, আমেরিকা যারা নিজে এত বেশি উদ্বিগ্ন, তারা নিজেরাই রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম এবং সার কিনছে। এই যুদ্ধের সময়ও সেই আমদানি বন্ধ হয়নি। পরে আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য বেড়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। আর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। অর্থাৎ, ট্রাম্প যখন ভারতকে রাশিয়া তেল না কেনার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন তাঁর দেশই রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়িয়েছে।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরও ভারত যে মাথা নত করবে না, তা একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২ দিন আগেই গুজরাটে এক সভায় তিনি বলেন, “যতই চাপ আসুক না কেন, তার মোকাবিলায় আমরা শক্তিবৃদ্ধি করে যাব। মোদীর কাছে কৃষক, গবাদি পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।” ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারির আবহে স্বদেশী পণ্য ব্যবহারে ভারতীয়দের আহ্বানও জানান তিনি।

কূটনীতিকরা বলছেন, ভারতের অনমনীয় মনোভাবের পর ট্রাম্প বুঝেছেন নয়াদিল্লি চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না। তাই, গতকাল হোয়াইট হাউস ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আজ থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক চালু হওয়ার পর দুই দেশের বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার।