Murder Case: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, ফাঁকা ফ্ল্যাটে দেখা করতে ডেকেছিল ‘বন্ধু’, পরেরদিন বাড়ি ফিরল যুবতীর নিথর দেহ
Crime News: নিশিতা নামক ওই যুবতী আদতে হরদোইয়ের বাসিন্দা হলেও, লখনউয়ের একটি কলেজে পড়ত সে। তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়ার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল আদিত্যের। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই আদিত্য়ের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে যায় নিশিতা।

লখনউ: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়, সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। অনলাইনের সেই ‘অপরিচিত বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করতেই তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন যুবতী। পরেরদিন বাড়িতে ফিরল তাঁর নিথর দেহ। শরীরে গুলির ক্ষত। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়া বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই খুন হলেন যুবতী। শুক্রবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত যে যুবকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবতী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর নাম নিশিতা (২৩)। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত যুবতীর শরীরে গুলির ক্ষত ছিল। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যে যুবক নিশিতাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে আদিত্য দেব পাঠক নামক ওই যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিশিতা নামক ওই যুবতী আদতে হরদোইয়ের বাসিন্দা হলেও, লখনউয়ের একটি কলেজে পড়ত সে। তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়ার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল আদিত্যের। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই আদিত্য়ের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে যায় নিশিতা। সেখানেই তাদের মধ্যে হঠাৎ বচসা শুরু হয়। রাগের বশে নিশিতাকে গুলি করে ওই যুবক।
পরে সে নিজেই নিশিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইমার্জেন্সিতে তাঁর দেহ রেখেই পালিয়ে যায় ওই যুবক। পরে চিকিৎসক এসে ওই যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করায় এবং তাঁর দেহে গুলির ক্ষত থাকায় হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন) মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত হওয়া দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
