Uttar Pradesh: ‘তুমি এখন আমার মা’, শ্বশুরের ধর্ষণের পর যুবতীকে ঘরছাড়া করলেন স্বামী
Uttar Pradesh Crime: শ্বশুরের অপকর্মের জন্য সাজা পেতে হয়েছে তাঁকেই। ধর্ষণকাণ্ডের কথা জেনেই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলায়। ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
লখনউ: মাত্র এক বছর আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, আর পাঁচজনের মতো সুখে সংসার করা সম্ভব হয়নি ২৬ বছরের যুবতীর। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে তাঁকে ধর্ষণ করেছে তাঁর শ্বশুর, এমনই অভিযোগ ওই যুবতীর। সবথেকে বড় কথা, এই পরিস্থিতিতে স্বামীকেও পাশে পাননি তিনি। বরং, শ্বশুরের অপকর্মের জন্য সাজা পেতে হয়েছে তাঁকেই। ধর্ষণকাণ্ডের কথা জেনেই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলায়। ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল চলতি বছরের ৫ অগস্ট। নির্যাতিতা যুবতী জানিয়েছেন, ওইদিন তাঁর শাশুড়িকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। বাড়িতে ছিলেন শুধু তিনি এবং তাঁর শ্বশুর। যুবতীর অভিযোগ, ফাঁকা বাড়ির সুযোগে, তাঁর উপর জোর খাটিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুর। ধর্ষণের পর, বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছিল সে। স্বামী বাড়ি ফেরার পর, তাঁকে ধর্ষণের ঘটনা জানিয়েছিলেন ওই যুবতী। তাঁর পাশে দাঁড়ানো দূরের কথা, সঙ্গে এক ঘরে থাকতেও রাজি হয়নি স্বামী। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বর্তমানে, তিনি বাপের বাড়িতে আছেন।
মহিলার আরও দাবি, তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময় স্বামী বলেছিলেন, “আমার বাবা জোর করে তোমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তাই তুমি এখন আমার বাবার স্ত্রী হয়ে গিয়েছ। এখন তুমি আমার মা। তোমার সঙ্গে আমি একসঙ্গে থাকতে পারব না।” গত ৭ সেপ্টেম্বর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। ফৌজদারি বিধি মেনে জেলাশাসকের সামনে নির্যাতিতার বয়ান নথিবদ্ধও করা হয়েছে। মহিলার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ধর্ষণ, ইচ্ছাকৃত আঘাত, অপরাধমূলক হুমকির মতো অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। স্টেশন হাউস ফিসার রবীন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই মহিলা সাতমাসের গর্ভবতী বলে জানা গিয়েছে। যদিও অভিযোগে তার উল্লেখ করেননি তিনি। তবে তাঁর সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তাঁর শ্বশুর। শ্বশুরের পাল্টা দাবি, আর্থিক লাভের আশাতেই ওই যুবতী এই সকল অভিযোগ করেছেন।
মজার বিষয় হল, উত্তর প্রদেশে এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। ২০০৫ সালের জুনে একইরকম অভিযোগ করেছিলেন এক ২৮ বছরের যুবতী। শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসেছিল। ৫ সন্তানের মা ওই যুবতীকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে বাধা দিয়েছিল পঞ্চায়েত। শ্বশুর ধর্ষণ করায়, স্বামীকে সন্তানের চোখে দেখার উপদেশ দিয়েছিল পঞ্চায়েত।