নিশ্চিহ্ন তপোবনের বাঁধ, রাত থেকেই ফের বাড়ছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর
গতকাল রাত আটটা নাগাদ সেনাবাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরা হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টের কাছে সুড়ঙ্গে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছিল। নজরদারির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা দেখেন, ফের ধৌলিগঙ্গা নদীতে জলপ্রবাহ বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলস্তরও।
জোশীমঠ: দূর থেকে দেখলে মনেই হবে তপোবনে হাইড্রোপাওয়ার প্লান্টে আদৌই কোনও বাঁধ ছিল! রবিবার হিমবাহ ভেঙে পড়ায় জোশীমঠ যে প্লাবনের সাক্ষী থাকল, তারফলে ক্ষয়ক্ষতির আন্দাজ করতে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে। আর সেখানেই ধরা পড়েছে এমন চিত্র।
বায়ুসেনার বিমান থেকে তোলা চিত্রে দেখা গিয়েছে ধৌলিগঙ্গা ও ঋষিগঙ্গা নদীর জলের তোড়ে মালারি ভ্যালি (Malari Vally)-তে দুটি সেতু নিশ্চিহ্নই হয়ে গিয়েছে। তপোবনের আশেপাশেও সবকিছু ধুয়েমুছে গিয়েছে।
শনিবার রাতেই নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে পড়ে স্থানীয় তালে। সেখান থেকে জলস্তর বেড়ে প্লাবন আসে ঋষিগঙ্গা নদীতে। রবিবার সকালেই দেখা যায় বাঁধ ভেঙে রেনী গ্রামের হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে জল। অলকানন্দা নদীর আশেপাশে অবস্থিত গ্রামের বাসিন্দারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলের তোড়ে ভেসে যায় বাড়িঘর। সেখানেই হারিয়ে যান শতাধিক মানুষ। আইটিবিপি (ITBP) সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও অবধি মোট ১৪ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ প্রায় ১৭০ জন।
Uttarakhand: Team of SDRF-Uttarakhand Police carries out search operation around Srinagar Dam. pic.twitter.com/OrGbcjk0LW
— ANI (@ANI) February 8, 2021
আরও পড়ুন: Uttarakhand Joshimath Dam Disaster: উদ্ধার ১৪ মৃতদেহ, চিন্তা বাড়াচ্ছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর
এদিকে, গতকালই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি বি রাওয়াত (TB Rawat) জানিয়েছিলেন, নন্দপ্রয়াগের পর থেকেই অলকানন্দা নদীর জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। জলস্তর স্বাভাবিকের তুলনায় এক ফুট বেশি। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে ধৌলিগঙ্গা। গতকাল রাতেই জানা যায়, হিমবাহ ভেঙে পড়ার প্রভাবে ফের একবার নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশেপাশের এলাকায়।
গতকাল রাত আটটা নাগাদ সেনাবাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরা হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টের কাছে সুড়ঙ্গে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছিল। নজরদারির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা দেখেন, ফের ধৌলিগঙ্গা নদীতে জলপ্রবাহ বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলস্তরও। সতর্কতাবশে সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকার্য। আজ সকাল থেকে জেসিবির সাহায্যে সুড়ঙ্গের মুখ কেটে ফের উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়েছে।
অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকালই আশেপাশের গ্রাম ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতা জারি করা হয়েছিল হরিদ্বার অবধি। এখনও জারিই রয়েছে সেই সতর্কতা। নদীগুলির আশেপাশে অবস্থিত বসতিগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীতে নামতেও বারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেবভূমিতে ধ্বংসলীলা! জোশীমঠে এখনও অবধি উদ্ধার ১৪ মৃতদেহ, নিখোঁজ ১৭০