নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি তিনি। দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন আগামী সোমবার। তার আগেই নিজের রোজকার একটি অভ্যাস ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আর সকালে হাঁটতে বেরোবেন না তিনি। কিন্তু, কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিতে হল দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতিকে?
সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে কয়েক কিলোমিটার হাঁটেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। লোধী গার্ডেন এলাকা ও নিজের বাড়ির চারপাশে হাঁটেন। কেউ তাঁকে চিনতে পারবেন না, এই ভেবে একাই প্রাতর্ভ্রমণে বেরোতেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। গত মাসের শেষ দিকে, পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। তারপরই তাঁকে প্রাতর্ভ্রমণের সময় সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, তা প্রত্যাখ্যান করেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোনোয় অভ্যস্ত নন। তাই, প্রাতর্ভ্রমণে আর না বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি খান্না।
দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির পরিচিতরা বলছেন, দিল্লির অলি-গলি চেনের বিচারপতি খান্না। তিনি বারখাম্বা রোডের মডার্ন স্কুল থেকে পাশ করেছেন। তারপর সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন পাশ করেছেন। সূত্রের খবর, এখনও স্কুল, কলেজ ও ক্যাম্পাস ল সেন্টারের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার। নিজেই গাড়ি চালিয়ে সেইসব বন্ধুদের বাড়ি পৌঁছে যান।
তাঁর বন্ধুরা বলছেন, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সেই স্কুল ও কলেজের দিনগুলিতে যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন। তাঁর এক বন্ধু বলেন, “সাধারণ এবং শান্ত প্রকৃতির। ক্যামেরা ও প্রচার থেকে দূরে থাকতে চান।” গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লির নির্মাণ ভবন ভোটকেন্দ্রে ভোটদানের জন্য এসেছিলেন বিচারপতি খান্না। সেইসময় তাঁর জন্য ভোটকেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এসে ভোট দিয়ে কখন বেরিয়ে যান বিচারপতি, তা কেউ টের পাননি। কারণ, সবাই ভেবেছিলেন, সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনিতে ভোট দিতে আসবেন বিচারপতি খান্না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাস ছয়েক দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসর নেবেন।