AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘তিলে তিলে মারব তোকে…’, বউমাকে HIV সংক্রমিত সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

Dowry Demand: শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল যুবতী। মা-বাবাকে বলেছিল, তাদের দাবি যেন পূরণ না করে। এদিকে, বউমার কীর্তি শুনে বাড়ি থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেন। বাপের বাড়ি ফিরে আসলেও, গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে তাঁকে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

'তিলে তিলে মারব তোকে...', বউমাকে HIV সংক্রমিত সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Pixabay
| Updated on: Feb 16, 2025 | 1:21 PM
Share

লখনউ: একমাত্র মেয়ে। নিজের সর্বস্বটা উজাড় করেই বিয়ে দিয়েছিলেন। পাত্রপক্ষের দাবি ছিল, গাড়ি ও নগদ টাকা দিতে হবে। সেই মতো একটি গাড়ি ও ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মন ভরেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। বিয়ের পর থেকেই আরও পণের জন্য লাগাতার চাপ দিত। বাবার কাছে সেই পণের কথা বলতে না চাওয়ায় চরম শাস্তি দিল। শরীরে ঢুকিয়ে দিল এইচআইভি সংক্রমিত ইঞ্জেকশন।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তর প্রদেশের সচিন সাহানির সঙ্গে। বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের দাবি মেনে একটি গাড়ি ও ১৫ লক্ষ টাকা নগদ পণ দিয়েছিলেন যুবতীর বাবা। কিন্তু এরপরও সন্তুষ্ট হননি শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কিছুদিন পর থেকেই দাবি করেন স্করপিও এসইউভি গাড়ি দিতে হবে। সঙ্গে ২৫ লাখ টাকাও দিতে হবে।

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল যুবতী। মা-বাবাকে বলেছিল, তাদের দাবি যেন পূরণ না করে। এদিকে, বউমার কীর্তি শুনে বাড়ি থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেন। বাপের বাড়ি ফিরে আসলেও, গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে তাঁকে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ফিরে গেলে তাঁর উপরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়।

যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, অত্যাচার চরমে ওঠে যখন যুবতী পণের দাবিতে রাজি না হওয়ায় এইআইভি সংক্রামিত ইঞ্জেকশন দিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পর থেকেই যুবতীর স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে। তাঁর মা-বাবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, পরীক্ষা করে জানা যায় ওই যুবতী এইচআইভি সংক্রামিত হয়েছে। এদিকে, তাঁর স্বামীর এইআইভি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।  যুবতী গোটা বিষয়টি জানালে তাঁর মা-বাবা পুলিশে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে তারা স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশেই পণের জন্য হেনস্থা, অত্যাচার, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়।