Calcutta University: হারিয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ জন পরীক্ষার্থীর খাতা, কঠোর পদক্ষেপের পথে কর্তৃপক্ষ
Calcutta University: জানা গিয়েছে, ৩ জন পরীক্ষকের কাছে ছিল খাতাগুলি। তার মধ্যে একজন কোঅর্ডিনেটরের কাছে খাতা জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে খাতা হারিয়ে গিয়েছে। আর বাকি দুজনের কাছ থেকেও হারিয়ে গিয়েছে খাতা।
কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা দফতর তথা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। মুখ পুড়েছে সরকারের। আর এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। হারিয়ে গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের খাতা। একসঙ্গে ১২০ জন পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিনজন পরীক্ষকের কাছে ছিল সেই খাতা। কীভাবে তাঁদের কাছ থেকে শতাধিক উত্তরপত্র হারিয়ে গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার কীভাবে ওই পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে, তা নিয়ে আতান্তরে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলার বহু ছাত্র ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতে পড়াশোনা করেন বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী। সেখানে এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। এর আগে নম্বর হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠলেও একেবারে খাতা হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আগে ওঠেনি। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত দাবি করেছেন, আগে এমন ঘটনা ঘটে থাকলেও, তা প্রকাশ্যে আসেনি।
স্নাতকোত্তর (MA)-র প্রথম বর্ষের ১২০ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র উধাও হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩ জন পরীক্ষকের কাছে ছিল খাতাগুলি। তার মধ্যে একজন কোঅর্ডিনেটরের কাছে খাতা জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে খাতা হারিয়ে গিয়েছে। আর বাকি দুজনের কাছ থেকেও হারিয়ে গিয়েছে খাতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ যে কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই কলেজ কর্তৃপক্ষকেই মূল্যায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এক, অন্য বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে অথবা ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিন পরীক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের সার্ভিস বুকে এই কথা উল্লেখ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “আগে যে এমন ঘটনা ঘটেনি, তা বলা যায়না। আগে হয়ত খবর বাইরে বেরোয়নি। কারণ অনেকেই শাসক দলকে সমর্থন করেন অথবা ভয়ে চুপ করে থাকেন।” এই ক্ষেত্রে তিন পরীক্ষককে ‘কঠিনতম সাজা’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।