Covid-19: ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব রেলের ২৮৮ জন কোভিড পজিটিভ, ৮০ জন ভর্তি হাসপাতালে

Covid-19: লকডাউনের পর যখন ধীরে ধীরে রেল পরিষেবা চালু হয়, তখন একের পর এক রেলকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছিল।

Covid-19: ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব রেলের ২৮৮ জন কোভিড পজিটিভ, ৮০ জন ভর্তি হাসপাতালে
পূর্ব রেলে বাড়ছে সংক্রমণ। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2022 | 1:11 PM

কলকাতা: পূর্ব রেলের কর্মীদের উপর করোনার থাবা। একদিনে পূর্ব রেলে আক্রান্ত ২৮৮ জন কর্মী। ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যেই ২৮৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ৮০ জন করোনা আক্রান্ত রেল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও এই ছবিটাই দেখা গিয়েছিল। লকডাউনের পর যখন ধীরে ধীরে রেল পরিষেবা চালু হয়, তখন একের পর এক রেলকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছিল। ড্রাইভার থেকে অন্যান্য বিভাগের কর্মী হু হু করে ছড়াচ্ছিল করোনা।

এবারও সেই ছবিটাই প্রকট হচ্ছে। বিশেষ করে এখন যেহেতু অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, ফলে সংক্রমিতের গ্রাফটাও সহজেই উপরের দিকে উঠছে। একদিনে ২৮৮ জন কর্মীর সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ৩৩৬ জনের মধ্যে সিংহভাগই সংক্রমিত। এর আগেও দেখা গিয়েছে পূর্ব রেলের হাসপাতালের শতাধিক চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত।

চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে দায়ী অতি সংক্রামক ওমিক্রনই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৬৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বর্তমানে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৭১। দেশের ২৭টি রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৬। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩। তবে ওমিক্রনের জেরে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি না হওয়ায়, এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা। অন্যদিকে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ১২০৩ জনই ইতিমধ্যে  সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এবার কোভিডের রোগ উপসর্গ মূলত জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশি এই পর্যন্তই। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিংবা ফুসফুসে সংক্রমণের মত উপসর্গ নেই বললেই চলে। যে কারণে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করানোর মত প্রয়োজন পড়ছে না। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “ওমিক্রন অত্যন্ত মারাত্মকভাবে সংক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু মারণ ক্ষমতা কম। তাই ৭০ শতাংশ মানুষ ওমিক্রন আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি, জটিলতা তৈরি, মৃত্যু, ভেন্টিলেশনের সংখ্যা অনেক কম।”

তবে সংক্রমণ বাড়ছে জেট গতিতে। এক সপ্তাহ আগেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডী পার করেছিল। সপ্তাহ পার হতে না হতেই তা লক্ষের গণ্ডীতে প্রবেশ করে গেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবেই দেশে করোনা সংক্রমণ ব্যপক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, মাস্ক পরা, যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা, বার বার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজ করা অত্যাবশ্যক। এতেই এড়ানো যাবে ওমিক্রনের ঝুঁকি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজ়ির কথায়, “ওমিক্রনও করোনা ভাইরাসই। সুতরাং, এটিকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। ওমিক্রনের সংক্রমণ ডেল্টার চেয়ে অনেকটা মৃদু। তবে টিকাকরণ না হয়ে থাকলে কোনও ব্যক্তি ওমিক্রনের ধাক্কাতেও গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। অবশ্য ডেল্টা যেমন গোটা ফুসফুসে হামলা করে, ওমিক্রন শ্বাসনালীর উপরের অংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।”

আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণের ৭১ শতাংশই ওমিক্রন, তাই এখনও নিয়ন্ত্রণে মৃত্যু-হাসপাতালমুখী রোগীর সংখ্যা