কলকাতা : গত বছর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি থাকার ছবি দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবাসীর। তবে বছর ঘুরলেও সেই ছবিতে ইতি পড়েনি। নতুন বছরের শুরুতেই পোস্তা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ৫০ লক্ষ টাকা (50 lakh recovered)। আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও মোস্তাকিন মোল্লা নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা আবার সম্পর্কে বাবা ছেলে। এবার ফের শহরে বিপুল টাকার হদিশ। বৌবাজার গণেশ চন্দ্র এভিনিউ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
কোথা থেকে এই বিপুল টাকা এসেছে, কার নামে রয়েছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারায় গ্রেফতার করা হয় রাজেশ মল্লিক নামে পিকনিক গার্ডেনের এক বাসিন্দাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে অমিত কুমার দে নামে সোনারপুরের আর এক বাসিন্দাকে। গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। উদ্ধার হওয়ার টাকার মধ্যে বেশিরভাগই ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে হাওয়ালা যোগের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগেও একাধিকবার বড়বাজার চত্বর থেকে এরকম অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এবার ফের একই ঘটনা ঘটায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তবে কী হাওয়ালা যোগের মূল কেন্দ্র এবার শহরের বড় বাজার? উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি ই-নাগেটেস কেলেঙ্কারিতেও আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বিড়ি কারখানা থেকে ১১ কোটির বেশি টাকা নগদ উদ্ধার করে আয়কর দফতর। যা নিয়েও বিস্তর শোরগোল শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের কারখানা থেকে যে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে তার সমর্থনে কোনও নথি দেখানো সম্ভব হয়নি বলে খবর মিলেছিল। যা নিয়েও তৈরি হয়েছিল চাপানউতর।