ABT: বাংলার বুকে দাঁড়িয়েই বিশাল বিস্ফোরণের সলতে পাকিয়েছেন আনসারুল্লা বাংলা টিমের হেড! সামনে এল আশঙ্কার তথ্য

ABT: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিজেদের সংগঠন ছড়িয়ে দিয়ে ABT-র স্লিপার সেল কাজ করছে। সামনে এসেছে আরও আশঙ্কার কথা। অগস্টে জেলমুক্তির পর জসিমুদ্দিন এসেছিলেন মুর্শিদাবাদে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জসিমুদ্দিন ছিলেন শাদ রাডির ভাই সাজিবুলদের ডেরায়।

ABT: বাংলার বুকে দাঁড়িয়েই বিশাল বিস্ফোরণের সলতে পাকিয়েছেন আনসারুল্লা বাংলা টিমের হেড! সামনে এল আশঙ্কার তথ্য
আনসারুল্লা বাংলা টিমের হেড জসিমুদ্দিন রহমানিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2025 | 6:10 PM

কলকাতা: বাংলায় জাল বিস্তারে মরিয়া বাংলাদেশি জঙ্গিরা। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনলারুল্লা বাংলা টিমের হেড জসিমুদ্দিন রহমানি। মুর্শিদাবাদ ঘুরে গিয়েছেন জসিমুদ্দিন রহমানি। ABT-র ধৃত সদস্যদের গ্রেফতার করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।

ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জসিমুদ্দিন। তাঁর ভিডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি বাংলাদেশের দিকে এক পা বাড়াও, আমরা সেভেন সিস্টার, চায়নাকে বলে দেব, চিকেন নেক বন্ধ করে দাও। সেভেন সিস্টারকে স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলো।” বাংলার বুকে নিজেদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে ABT কতটা সক্রিয়, তা জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই টিমের ধৃত সদস্য মুস্তাকিম মণ্ডল, সাজিবুল ইসলামদের জেরা করে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিজেদের সংগঠন ছড়িয়ে দিয়ে ABT-র স্লিপার সেল কাজ করছে। সামনে এসেছে আরও আশঙ্কার কথা। অগস্টে জেলমুক্তির পর জসিমুদ্দিন এসেছিলেন মুর্শিদাবাদে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জসিমুদ্দিন ছিলেন শাদ রাডির ভাই সাজিবুলদের ডেরায়। আর সাজিবুল, মুস্তাকিমদের জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নওদা এলাকায় ঠাঁই নিয়েছিলেন জসিমুদ্দিন।

গোয়েন্দারা বলছেন, জঙ্গি সংগঠনের যাঁরা প্রধান হন, তাঁরা খুব সহজে কমফোর্ট জোন ছেড়ে বাইরে বের হন না। সেখানে দেখা যাচ্ছে জসিমুদ্দিন বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার মধ্যে নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে ঢোকেন। মুর্শিদাবাদকে কীভাবে এতটা নিরাপদ ভাবলেন জসিমুদ্দিন? কারণ সেখানে তাঁদের সাংগঠনিক শক্তি এতটাই বেশি, যেটাকে সুরক্ষিত বলে মনে করেছেন জসিমুদ্দিন। আরও একটা বিষয়, কোনও পরিকল্পনা অনেক দূর এগিয়েছে। আর সেটাকে চূড়ান্ত করতেই তাঁর ভারতে আসা। জসিমুদ্দিনের উদ্দেশ্য ছিল, ধর্মীয় মজলিশ কিংবা জমায়েতকে হাতিয়ার করে হিংসা ছড়ানো।

এই সমস্ত তথ্য হাতে আসার উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। তবে শাসকদল এক্ষেত্রেও দায় ঠেলেছে বিএসএফের ঘাড়ে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “বিএসএফ ফেল করছে। বাংলায় ত্রিপুরা, অসম-বিভিন্ন জায়গার লোকজন ঢুকছে। সেন্ট্রাল আইবি-র উচিত এগুলো মনিটর করা।” মুর্শিদাবাদে এসে কোন বড় ষড়যন্ত্রের সলতে পাকিয়ে গিয়েছেন জসিমুদ্দিন? সেটাই ধৃতদের জেরা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন গোয়েন্দারা।