Alipur Zoo: ব্রেকফাস্ট দিতে দেরি, গোঁসা করে খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়লেন ‘বুড়ি’! শিম্পাঞ্জিকে নিয়ে হুলস্থুল আলিপুর চিড়িয়াখানায়
Alipur Zoo: আসলে বুড়ি হলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জি। সোমবার সকালে তাকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানার এক কর্মী।
কলকাতা: শহরের তাপমাত্রা এখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। সোমবার সকালে আরও সরগরম আলিপুর চিড়িয়াখানা। সেখানে যে বুড়ি বেরিয়ে পড়েছে ঘর থেকে। সে এক হই হই কাণ্ড! সকালে ‘ব্রেক ফাস্ট’ দিতে বোধ হয় দেরি হয়েছিল। এক্কেবারে রেগেমেগে ঘরেই বাইরে তিনি। ব্যাজার মুখে ঘুরে বেড়ালেন চিড়িয়াখানা চত্বর। আর ঘর্মাক্ত পরিবেশে হৃদস্পন্দন বাড়ালেন চিড়িয়াখানার কর্মীদের।
বিষয়টি ঠিক কী?
আসলে বুড়ি হলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জি। সোমবার সকালে তাকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানার এক কর্মী। আর তখনই খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে।
উল্কাগতিতে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা চিড়িয়াখানায়। বুড়ি তো তখন আপন মেজাজে। চিড়িয়াখানার এ প্রান্ত ওপ্রান্ত মোটামুটি চষে ফেলেছেন। খাঁচার মূল গেট খোলা পেয়ে বুড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। চিড়িয়াখানার কর্মীরা শিম্পাঞ্জিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন। তবে খুব সহজেই চিড়িয়াখানার কর্মীদের স্বস্তি দেয়নি বুড়ি।
বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টা চলে। তারপর বুড়িকে বাগে আনতে পারেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তবে এই প্রথম নয়, চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিন ১২ আগেও একবার বুড়ি বেরিয়ে পড়েছিল। শিম্পাঞ্জির খাঁচার বাইরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া তারের বেড়া রয়েছে। তারপর বিদ্যুতের ভোল্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই এই ঘটনা। আবার চিন্তায় ফেলল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে।
তবে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেসময়ে চিড়িয়াখানায় কোনও পর্যটক ছিলেন না। ফলে বড় কোনও সমস্যা হয়নি। জানা যাচ্ছে, শিম্পাঞ্জিটিকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য করে ফের খাঁচায় ঢোকানো হয়েছে।