কলকাতা: অবৈধভাবে তালিকায় নাম সামনে আনার অভিযোগ উঠেছে, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তবে এবার সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। এক শিক্ষক, যিনি গত তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, তাঁর নিয়োগ (Recruitment) নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এক চাকরি প্রার্থীর সুপারিশপত্র নকল করে ও আর এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে তিনি চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তভার সিআইডি-কে দিতে চায় আদালত। সে কারণেই ডিআইজি সিআইডি-কে তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। বুধবার এই অভিযোগ শুনে কার্যত অবাক হয়ে যান তিনি। আরও এমন অভিযোগ আছে কি না, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বিচারপতি।
সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী আরটিআই করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন। এরপরই মামলা করেছেন তিনি। বুধবার বিচারপতি বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল সেই মামলার।
মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেধাতালিকাতেই নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে আর এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যত কী?’ ২০১৬ সালের এসএলএসটি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। তাই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু চান, এই মামলার তদন্ত করুক সিআইডি। বৃহস্পতিবার ডিআইজি সিআইডি আদালতে গিয়ে জানাবেন তাঁর এই ঘটনার তদন্ত করবেন কি না।